পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করে দেয়ার পর আজ বিকেলেই ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে খুব বেশি না, মাত্র ২ ওভার খেলার সুযোগ পায় টাইগার ব্যাটাররা এবং এই দুই ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে রান উঠেছে ১০ রান। সাদমান করেছেন ৬ রান। জাকির হাসান রানের খাতাই খোলেননি।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণি বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে স্বাগতিক পাকিস্তান অলআউট হয়ে গেছে ২৭৪ রানে। তিনটি হাফ সেঞ্চুরি থাকলেও ইনিংসটি বড় হতে পারেনি অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণে। ফাইফার নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২২.১ ওভার বল করে ৬১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিলেন তিনি।
বৃষ্টির কবল পড়ে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিন পুরোটাই ভেসে গেছে। দ্বিতীয় দিন হলো টস। জিতলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টস জিতেই বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদকে।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শরিফুলের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপে পড়েন পাকিস্তানি ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক। ৬ বল খেলে তাসকিনের বলে বোল্ড হলেন তিনি।
দ্বিতীয় ইউকেট জুটিতে কিন্তু ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। সাইম আইয়ুব এবং অধিনায়ক শান মাসুদ মিলে ১০৭ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে তোলেন। ৬৯ বলে ৫৭ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে এলবিডব্লিউর শিকার হলেন। ১১০ বলে ৫৮ রান করে আউট হয়ে যান সাইম আইয়ুব।
বাবর আজম চেষ্টা করেছিলেন ইনিংসটা বড় করার; কিন্তু সাকিব আল হাসানের বলে এলডব্লিউর শিকার হলেন তিনি। সউদ শাকিল করেন ২৮ বলে ১৬ রান। তাসকিনের বলে বোল্ড হলেন তিনি।
মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আগা সালমান মিলে মাঝপথে আরও একবার চেষ্টা করেন হাল ধরার। কিন্তু তাদের লড়াইটা খুব বড় হতে পারেনি। ৬৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। আগা সালমান হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৯৫ বল খেলে ৫৪ রান করে আউট হন তিনি। খুররম শাহজাদ করেন ১২ রান।
শেষ দিকে মোহাম্মদ আলি এবং আবরার আহমেদকে আউট করে নিজের ক্যারিয়ারে ১০ম বার ফাইফারের লক্ষ্য পূরণ করেন মিরাজ। ৩টি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং ১টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও নাহিদ রানা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।