‘আমি হাসতে হাসতে কাঁদি’, লিরিক্সের গানটি হয়তো অনেকেই শুনেছেন। বিখ্যাত গায়ক ও গীতিকার জেমস গেয়েছেন এ গান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের স্কোর বোর্ডে তাকালে বাংলাদেশ তথা সাকিব-হৃদয়ভক্তদের অবস্থা অনেকটা সেরকমই হতে পারে। আইরিশদের বিপক্ষে টাইগাররা বিশাল স্কোর ঠিকই সংগ্রহ করেছে, যা সুখ জাগানিয়াই। পাশাপাশি দুটি সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে টাইগারদের। এরমধ্যে হৃদয়ের সামনে ছিল অভিষেকে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শত রান করার হাতছানি। ৯৩ রানে সাকিব ও ৯২ রানে আউট হন হৃদয়।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৩৩৩ রানের। আইরিশদের বিপক্ষে শনিবার (১৮ মার্চ) তারা সেই স্কোর ছাড়িয়ে গেছে। ৮ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা করেছে ৩৩৮ রান। জয়ের জন্য ৩৩৯ রান করতে হবে সফরকারী দলের।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শনিবার (১৮ মার্চ) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মার্ক অ্যাডায়ারকে খেলতে গিয়ে বাংলাদেশ দলপতি ক্যাচ দেন পল স্টার্লিংকে। ৯ বলে মাত্র ৩ রান করেন তামিম। তামিমকে হারানোর পর লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছিল টাইগার শিবির। দলীয় স্কোর অর্ধশতক পূর্ণ হওয়ার ঠিক আগে বিদায় নেন লিটন। ৩১ বলে তিনি করেন ২৬ রান। লিটনকে স্টার্লিংয়ের ক্যাচ বানান কার্টিস ক্যাম্ফার।
এরপর আবার নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব মিলে দৃঢ়তা আনেন। তাদের জুটি ভাঙে ৩২ রানের মাথায়। শান্ত আউট হন ব্যক্তিগত ২৫ রানে। ৩৪ বল খেলা শান্তকে বোল্ডআউট করেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। শান্ত যখন আউট হন তখন বাংলাদেশের দলীয় রান ছিল ৮১। এরপর ক্রিজে আসেন হৃদয়। সাকিবের সঙ্গে তিনি গড়ে তোলেন ১৩৫ রানের জুটি।
সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়েও হতাশ করেন সাকিব আল হাসান। গ্রাহাম হুমের বলে ৯৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি। তাতে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তার ১৩৫ রানের জুটিও ভাঙে। হুমকে খেলতে গিয়ে লর্কান টাকারকে ক্যাচ দেস সাকিব। ৯৩ করতে ৮৯ বলে তিনি খেলেন ৯টি চারের মার। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে পাঁচবার নব্বয়ের ঘরে আউট হলেন সাকিব। এর আগে তিনবার টেস্টে ও একবার ওয়ানডেতে নব্বইয়ের ঘরে থাকতে বিদায় নেন তিনি।
সাকিব আউট হলেও বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন অভিষিক্ত হৃদয়। তাকে উপযুক্ত সঙ্গ দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। আক্রমণাত্মক ঢংয়ে খেলতে থাকা মুশফিক-হৃদয়ের জুটি ভাঙে দলীয় ২৯৬ রানে। এ সময় মুশি আউট হন ব্যক্তিগত ৪৪ রানে। মাত্র ৪৯ বলে দুজনে মিলে গড়েছিলেন ৮০ রানের জুটি। একই ওভারে বিদায় নেন অভিষেকে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা হৃদয়। তিন অঙ্কের ঘর থেকে মাত্র ৮ রান দূরে ছিলেন তিনি। ৮৫ বলে ৯২ রান করতে তিনি খেলেন ৮টি চার ও ২টি ছয়ের মার।
শেষ দিকে ইয়াসির আলি ১৭, তাসকিন ও নাসুম তোলেন ১১ রান করে। আয়ারল্যান্ডের হয়ে হুম নেন ৪ উইকেট। একটি করে উইকেট পান অ্যাডায়ার, ক্যাম্ফার ও ম্যাকব্রাইন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।