মুলতানের মাঠে ইতিহাস গড়া টেস্ট ম্যাচে পাকিস্তান দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র তিন দিনের মধ্যেই হারিয়ে দিয়েছে। ম্যাচটি পাকিস্তানের মাটিতে হওয়া সবচেয়ে কম বলের (১০৬৪ বল) টেস্ট হিসেবে রেকর্ড গড়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ৩৬.৩ ওভারে, যেখানে তারা ১২৩ রানেই থেমে যায়। লক্ষ্য ছিল ২৫১ রানের, কিন্তু পাকিস্তানের স্পিনারদের ঘূর্ণি জাদুর সামনে ক্যারিবীয় ব্যাটাররা কোনোভাবেই নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারেনি।
স্পিনার সাজিদ খান ছিলেন সবচেয়ে সফল। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৫ উইকেট নেন, প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। আরেক স্পিনার নোমান আলী এবং আবরার আহমেদও দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। সাজিদ প্রথম ৪ উইকেট তুলে নেন, পরে আবরার আর নোমান আলী দায়িত্ব শেষ করেন।
সপ্তম উইকেটে অ্যালিক অ্যাথানাজ ও কেভিন সিনক্লেয়ারের জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিল। কিন্তু ১০.৩ ওভারে ২৮ রানের এই জুটি আবরারের এক আক্রমণাত্মক ডেলিভারিতে শেষ হয়ে যায়। সিনক্লেয়ার স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলে বাকি ৩ উইকেট পড়তে সময় লাগে মাত্র ১০ বল।
পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসেও স্পিনাররা প্রভাব বিস্তার করে। বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন। ওয়ারিকানের ৩২ রানে ৭ উইকেটে পাকিস্তানের মাটিতে কোনো সফরকারী স্পিনারের সেরা বোলিং রেকর্ড। তবে তার এই সাফল্যও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হার এড়াতে সাহায্য করতে পারেনি।
মুলতান টেস্টের প্রথম তিন ইনিংস থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, চতুর্থ ইনিংসে ২৫১ রান তোলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য কঠিন হবে। তাদের আক্রমণাত্মক খেলার কৌশলও কোনো কাজে আসেনি। সাজিদ, নোমান এবং আবরারের প্রতিটি ডেলিভারি যেন ব্যাটারদের জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে ২৫ জানুয়ারি এই মুলতানেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২৩০ ও ১৫৭ (মাসুদ ৫২, হুরায়রা ২৯, কামরান ২৭, সালমান ১৪; ওয়ারিকান ৭/৩২, মোতি ১/৪৮)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩৭ ও ১২৩ (অ্যাথানাজ ৫৫, ইমলাচ ১৪; সাজিদ ৫/৫০, আবরার ৪/২৭)।
ফল: পাকিস্তান ১২৭ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাজিদ খান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।