চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছিলেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়াই তার দলের লক্ষ্য। এরপর অবশ্য দুবাইয়ে একমাত্র অনানুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে টাইগাররা পাকিস্তান শাহিনসের কাছেই বড় ব্যবধানে হেরেছে। ডেথ গ্রুপে পড়ায় বাংলাদেশকে নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী নন সমর্থকরা। রিকি পন্টিং-এবি ডি ভিলিয়ার্সের চোখেও বাংলাদেশের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কঠিন প্রতিযোগিতা হতে যাচ্ছে। তবে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে শান্ত জানালেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেয়া সবগুলো দলই শিরোপা জেতার সামর্থ রাখে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ভারত, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডকে। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে। কঠিন এই গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী মানুষের সংখ্যা খুব বেশি হবার কথা নয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ফর্মও পক্ষে কথা বলছে না। নিজেদের খেলা সবশেষ দুই ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশ। এরপর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল অনুষ্ঠিত হওয়ায় ওয়ানডে ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতিটাও ঠিকমত হয়নি। তবে এরপরও বাংলাদেশকে ফেবারিট মনে না করলেও ভারসাম্যপূর্ণ দলই মনে করছেন অধিনায়ক শান্ত।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘এই সংস্করণে যদি আমাদের দিকে তাকান তাহলে আমাদের দলটা ব্যালেন্সড। আমরা বিশ্বাস করি এই টুর্নামেন্টে আমরা যেকোন দলকে হারাতে পারি। সব দলই শিরোপা জেতার সামর্থ্য রাখে। কিন্তু আমি এমন একজন নই যে কিনা প্রতিপক্ষ নিয়ে খুব বেশি ভাবে। আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমরা যেকোন দিন যেকোন দলকে হারাতে পারি।’
গ্রুপে থাকা তিনদলের বিপক্ষেই জয়ের স্মৃতি আছে বাংলাদেশের। গত বছর তো পাকিস্তানের মাটিতেই স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই সিরিজটা ছিল লাল বলে। ২০২২ সালে ঘরের মাঠে ভারতকে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে নিয়মিতই ভালো লড়াইয়ের স্মৃতি তো আছেই। তবে অতীত আঁকড়ে না ধরে ভারত ম্যাচের পরিকল্পনা সাজানোর দিকেই মনযোগ শান্তর।তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, আপনি যদি খেয়াল করেন তাহলে ৮টা দলই ভালো মানের। ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ভালো স্মৃতি আছে, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বেশ কিছু ম্যাচও জিতেছি। গত বছর (মূলত ২০২২) যখন ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটিতে খেলেছি সেটাতে আমাদের ভালো স্মৃতি আছে। কিন্তু এটা এখন অতীত হয়ে গেছে। আগামীকাল আমরা যদি ভালো খেলতে পারি এবং আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে ভালো একটা ম্যাচ হবে।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে মাত্র ২০২ রান করতে সমর্থ হয় টাইগাররা। এরপর ম্যাচটি হেরেছে ৭ উইকেটে। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ মূল প্রতিযোগিতায় প্রভাব রাখবে না বলে মনে করেন শান্ত, ‘অনুশীলন ম্যাচে হারা নিয়ে যেটা বললেন সেটা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। অনুশীলন ম্যাচে সবাইকেই বোলিং বা ব্যাটিং করার সুযোগ দিয়েছি। ইনজেনারেল অনুশীলনের জন্যই করা। এই হার মনে হয় না খুব একটা প্রভাব ফেলবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।