চলমান আইপিএলের শেষ দিকে এসে দল পেয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ৬ কোটি রুপিতে কাটার মাস্টারকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু মুস্তাফিজের আইপিএলে ডাক পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ‘অজ্ঞাত’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টাইগার এই পেসার এখনও টুর্নামেন্টটিতে খেলার ছাড়পত্র বা এনওসির জন্য আবেদন করেননি বলেই জানা গেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিতে হলে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেট বোর্ডের কাছে ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করতে হয় ফ্রাঞ্চাইজিকে। আইপিএল, দিল্লি ক্যাপিটালস কিংবা ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)—কেউই বিসিবির কাছে মুস্তাফিজের ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করেননি। তাই মুস্তাফিজের আইপিএলের এবারের আসরে খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কিছু জানা নেই। মুস্তাফিজ এনওসির জন্য আবেদন করেননি। যেহেতু দিল্লি তাদের পেজে জানিয়েছে, হয়তো খেলোয়াড়ের (মুস্তাফিজ) সাথে আগেই হয়তো কথা বলে রেখেছে। ছাড়পত্রের আবেদন পেলে সেটি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে পাকিস্তানের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলার কথা লিটন দাসের দলের। সিরিজ দুটি খেলতে দলের সঙ্গে আজ বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় দুবাইয়ের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন মুস্তাফিজ। আগামী ১৭ ও ১৯ মে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
এদিকে, চলতি মাসের ১৭ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে আইপিএলের বাকি অংশ। দিল্লি তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ১৮ মে, প্রতিপক্ষ গুজরাট টাইটানস। তাই বলা যায়, আরব আমিরাত সিরিজ শেষ করার আগে আইপিএলে যাওয়া হচ্ছে না মুস্তাফিজের। আবার আইপিএলে ছাড়পত্র পেলে পাকিস্তান সিরিজেও থাকা হবে না বাঁহাতি এই পেসারের।
এর আগে, চলমান আইপিএলের জন্য ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়ানো জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের জায়গায় বিকল্প হিসেবে মুস্তাফিজকে দলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। যদিও এই চুক্তি শুধুই চলতি আসরের বাকি অংশের জন্য, পরের মৌসুমে তাকে ধরে রাখতে পারবে না দলটি। এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ আসরেও এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন এই বাঁহাতি পেসার।
আইপিএলে মুস্তাফিজের অভিজ্ঞতা বেশ সমৃদ্ধ। এখন পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচে ৬১ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে আইপিএলে অভিষেক আসরেই শিরোপাও জেতেন তিনি। তার হাতে উঠেছিল বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কারও। এরপর খেলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সর্বশেষ আসরে ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে।
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতেও সফল মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ১০৬ ম্যাচ, নিয়েছেন ১৩২ উইকেট। সব মিলিয়ে বড় অঙ্কের আর্থিক চুক্তিতে আইপিএলে নাম লেখালেও মাঠে নামার আগে শেষ কথা বলবে বিসিবি। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত ছাড়পত্র আসে কি না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।