বিশ্ব ফুটবলে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান অনেক উঁচুতে। সাবেক এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গত বছর তাদের মাঠে ৭ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। মেলবোর্নের সেই ম্যাচে নিজেদের শক্তিমত্তা দেখিয়েছিল সকারুরা। এবার কিংস অ্যারেনাতে ফিরতি পর্বের ম্যাচ। ৬ জুনের ম্যাচকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন আজ থেকে শুরু হয়েছে। নিজেদের মাঠে আগের ভুল করতে চাইছে না জামাল ভূঁইয়ারা। ‘লড়াকু’ ফুটবল উপহার দেওয়ার আশ্বাস দিলেন তপু-সোহেল রানারা।
মুখে যতই বলুক না কেন, লড়াকু ফুটবল উপহার দেওয়া আদতে কঠিন বটে। ঘরের মাঠে এর আগে ২০১৫ সালে ৪-০ গোলে বাংলাদেশ হেরেছিল। তবে স্বাগতিকদের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মণ ঢাকার এবারের ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী, ‘দেখেন অস্ট্রেলিয়া ও লেবানন আমাদের থেকে এগিয়ে। অস্ট্রেলিয়া তো বেশ শক্তিশালী। আগে ৭ গোলে হেরেছিলাম। এখন আমাদের হোমে খেলা। আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলতে ও লড়াই করার চেষ্টা থাকবে। ভালো খেলতে চাই আমরা।’
নিজেদের মাঠে খেলা হওয়ার সুবিধাটা নিতে চাইছেন তপু, যেন প্রতিপক্ষ তেমন সুবিধা করতে না পারে। তার যুক্তি, ‘ওদের মাঠে যেভাবে আধিপত্য করেছে, সেটা এবার পারবে না। আমরা লড়াকু ম্যাচ খেলতে চাই। সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো, যেন গোল না খাই। যত সময় গোল না খাবো, তত সময় ভালো খেলার সুযোগ বেশি থাকবে। এছাড়া কিংস অ্যারেনাতে আমাদের রেকর্ড ভালো।’
দলে তরুণ ফুটবলার রয়েছে কয়েকজন। ফিরেছেন মোরসালিন ও তারিক কাজীর মতো খেলোয়াড়ও। তপুর প্রত্যাশা, ‘আমাদের দলে ৩-৪ জন নতুন খেলোয়াড় আছে। মোরসালিন ও তারিক কাজী গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। মোরসালিনের কাছে প্রত্যাশা সে স্কোর করবে। আমার মনে হয় ও ভালো করবে।’
দলে নেই অভিজ্ঞ গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। তার অনুপস্থিতিতে দল কি ভুগবে, যেখানে তরুণ মেহেদী হাসান শ্রাবণ, মিতুল মারমা ও সুজন হোসেন রয়েছেন। তপুর মত, ‘জাতীয় দল এমন একটা জায়গা, যে ভালো পারফরম্যান্স করবে, সে খেলার সুযোগ পাবে। ৪-৫ বছর জিকো অনেক সাপোর্ট করেছে। সে অন্যতম ভালো খেলোয়াড়। তাকে অবশ্যই মিস করবো। তবে এবার লিগে যারা ভালো করেছে তারাই সুযোগ পেয়েছে। তাদেরকে সেরাটা দিতে হবে। মাঠে প্রমাণ করতে হবে সবাইকে।’
তপুর মতোই আশার কথা শুনিয়েছেন মিডফিল্ডার সোহেলও। তার ভাষায় সবাই প্রস্তুত দুটি ম্যাচ খেলার জন্য। তবে আগে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ নিয়ে তাদের চিন্তা। সোহেল বলেছেন, ‘প্রতিটা খেলোয়াড় লিগে খেলার মধ্যে ছিল। আমি মনে করি সবাই ফিট আছে। ম্যাচ দুটির জন্য সবাই প্রস্তুত আছি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে ফল হয়েছে তা ঘরের মাঠে যেন না হয়, সেটাই চাই। ভালো ফুটবল খেলতে পারবো, সেই আত্মবিশ্বাস আছে। আবহাওয়া, মাঠ ও সমর্থক হলো আমাদের বাড়তি প্রেরণা। অস্ট্রেলিয়াতে ঠাণ্ডার পাশাপাশি বাতাস ছিল। এখানে হোম অ্যাডভ্যান্টেজ নিতে পারবো। ওদের বিপক্ষে যেন ছোট ভুল না হয়।’
৩ ও ৪ জুন জাতীয় দলের ক্লোজড ডোর অনুশীলন হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।