ঢাকাThursday , 12 October 2023
  1. world cup cricket t20
  2. অলিম্পিক এসোসিয়েশন
  3. অ্যাথলেটিক
  4. আইপিএল
  5. আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আরচারি
  8. এশিয়া কাপ
  9. এশিয়ান গেমস
  10. এসএ গেমস
  11. কমন ওয়েলথ গেমস
  12. কাবাডি
  13. কুস্তি
  14. ক্রিকেট
  15. টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা

Sahab Uddin
October 12, 2023 10:22 pm
Link Copied!

এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপটা এখন পর্যন্ত দারুণ কেটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে বিশাল ব্যবধানে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকেও বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। অজিদের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের জয় ১৩৪ রানে। এ জয় দিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠল টেম্বা বাভুমার দল।
শ্রী অটল বিহারি স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে ৩১১ রান করে প্রোটিয়ারা। জবাবে কাগিসো রাবাদা-মার্কো জানসেনদের তোপে ১৭৭ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। প্যাট কামিন্সের দলের এটা টানা দ্বিতীয় হার, আগের ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের কাছে হেরেছিল তারা।

শুরুতে অজি পেসারদের বিপক্ষে ছড়ি ঘুরিয়ে কুইন্টন ডি ককের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ৩১১ রানের পুঁজি দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অচেনা উইকেটে বেশ সাবধানী শুরু করে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ।

পাওয়ারপ্লেতে প্রথম পাঁচ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ১৬ রান তোলে তারা। কিন্তু এরপরের ওভারেই আঘাত হানেন মার্কো ইয়ানসেন। ৬ষ্ঠ ওভারের ৫ম বলেই বাভুমার কাছে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ১৫ বলে ৭ রান করে আউট হন মিচেল মার্শ।

মার্শের আউটের পর আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। মার্শের আউটের ঠিক পরের ওভারেই লুঙ্গি এনগিডির বলে কভারে ক্যাচ দিয়ে ২৭ বলে ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ওপেনার। ক্যারিয়ারে ওয়ানডেতে এই নিয়ে ৪র্থ বার ওয়ার্নারকে আউট করলেন লুঙ্গি।

স্মিথ ও লাবুশেন ক্রিজে কিছুক্ষণ কাটিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার ১ বল আগেই স্মিথকে ফেরান রাবাদা। এই প্রোটিয়া পেসারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন স্মিথ। ১২তম ওভারে আবারো উইকেট নেন রাবাদা। এবার এলেক্স ক্যারির বদলে দলে সুযোগ পাওয়া জস ইংলিসকে বোল্ড করেন এই পেসার।

৫৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা অবস্থায় অস্ট্রেলিয়া। তাদের সেই অবস্থায় আরো ঘি ঢালেন স্পিনার কেশন মাহারাজ। ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আউট করেন তিনি। এরপরের ওভারেই রাবাদার বলে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন মার্কস স্টইনিস।

কাগিসো রাবাদের একটি ব্যাক অফ লেংথ ডেলিভারে স্টইনিসের লেগ সাইড দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় তিনি গ্লান্স করেন। এতে দেখা যায় স্টইনিসের গ্লাভস হালকা ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটকিপার ডি ককের কাছে।

অন ফিল্ড আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলে রিভিউর সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল ঠিকই স্টইনিসের গ্লাভসে লেগেছে কিন্তু যখ সেটি লেগেছে তখন তার আরেক হাত ব্যাটে ধরা ছিল না। টিভি আম্পায়াররা সেটি লক্ষ্য না করেই আউটের সিদ্ধান্ত দেন। ক্রিকেটের আইন বলে, বল যখন গ্লাভসে লেগে ফিল্ডাররা ক্যাচ ধরবে তখন অবশ্যই দুই হাতের কোন না কোন অংশ ব্যাটের সঙ্গে থাকতে হবে। যে কারণে বোঝাই যাচ্ছে স্টইনিসের আউটের সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল।

১৮ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭১ রান করা অস্ট্রেলিয়া আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। এরপর অবশ্য স্টার্ক ও লাবুশেন ৭ম উইকেট জুটিতে ৯৮ বলে ৬৯ রানের একটি জুটি গড়ে লজ্জাজনক পরাজয় থেকে অজিদের রক্ষা করেন।

৩৪ তম ওভারে তাদের জুট ভাঙেন মার্কো ইয়ানসেন। ৫১ বলে ২৭ রান করা স্টার্ক উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এর ঠিক পরের ওভারে লাবুশেনও ফিরে যান। কেশব মাহারাজের বল সামনে এগিয়ে কভারের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে বাভুমার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। শেষ দিকে কামিন্সের ২১ বলে ২২ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে অজিদের।

হ্যাজেলউইডকে আউট করে অজি ইনিংসের সমাপ্তি টানেন প্রোটিয়া স্পিনার শামসি। ৪০.৫ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ১৩৪ রানের বিশাল পরাজয়ের ফলে বিশ্বকাপের শুরুতেই দুই ম্যাচে হেরে ব্যাকফুটে পড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে দুই ম্যাচে দুই জয়ে উড়ন্ত সূচনা করলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে রাবাদা ৩টি, মার্কো ইয়ানসেন, মাহারাজ ও শামসি ২টি করে উইকেট নেন। অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন লাবুশেন।

ডেথ ওভারের নৈপুণ্যে প্রোটিয়াদের ৩১১ রানে থামিয়েছে অস্ট্রেলিয়া
কুইন্টন ডি কক যেভাবে তাণ্ডব শুরু করেছিলেন তাতে আরও বড় স্কোরের সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু বিশ্বকাপে লখনউতে আজ অস্ট্রেলিয়াকে ৩১২ রানের লক্ষ্যই দিতে পেরেছে প্রোটিয়া দল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে তারা ৩১১ রান করতে পেরেছে।

ডেথ ওভারের সময় এইডেন মারক্রাম ও হাইনরিখ ক্লাসেনের মতো মারকুটে ব্যাটার থাকার পরেও ওই মুহূর্তে তাদের চেপে ধরে ম্যাচে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের দারুণ বোলিংয়েই প্রোটিয়া দল বেশি দূর যেতে পারেনি। অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে অজিদের ক্যাচ মিসের ঘটনা না ঘটলে স্কোরটা আরও কম হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ৫টি ম্যাচ হাতছাড়া করেছে অজি দল।

টস জিতে প্যাট কামিন্স বলেছিলেন পিচ কেমন আচরণ করবে সেটি নিয়ে নিশ্চিত নন তিনি। এই কারণে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন। পরে দেখা গেলো প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে তা পুরোপুরি লুফে নিয়েছেন প্রোটিয়া দুই ওপেনার। শত রানের ওপেনিং জুটিই বড় স্কোরের মঞ্চ গড়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ১৯.৪ ওভারে দুই ওপেনার মিলে ১০৮ রান যোগ করেছেন। অধিনায়ক তেম্বা বাভুমাকে ৩৫ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ম্যাক্সওয়েল।

যদিও অপরপ্রান্তে থাকা কুইন্টন ডি কককে থামানো যায়নি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নেন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। এই সময়ে রাসি ফন ডার ডুসেন সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করলেও ২৬ রানে আউট হয়েছেন। তার পর চলে ডি কক শো। ১০৬ বলে ১০৯ রান করা এই ব্যাটারকে ফিরিয়েই রাশ টেনে ধরতে অবদান রাখেন ম্যাক্সওয়েল। ডি ককের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৫টি ছয়ের মার।

তার পর মারক্রাম চেষ্টা করেছেন ইনিংসটা টেনে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু দ্রুত গতিতে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। মারক্রামকে ৪৪ বলে ৫৬ রানে থামিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড। হাইনরিখ ক্লাসেনও ২৯ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ দিকে স্কোরটা তিনশ ছুঁয়েছে ডেডিভ মিলার ও মার্কো ইয়ানসেনের মিনি ঝড়ে। মিলার ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৩ বলে ১৭ রান করেছেন। ইয়ানসেন ২২ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ২৬।

অজিদের হয়ে ৩৪ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫৩ রানে দুটি নেন মিচেল স্টার্কও। একটি করে নিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জাম্পা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।