ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) প্রথম আট ম্যাচ জয়ের পর নবম খেলায় এসে হারের ধাক্কা খায় আবাহনী লিমিটেড। আজ বৃহস্পতিবার নিজেদের দশম ম্যাচে মোহাম্মদ নাইম ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটিং নৈপুন্যে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৯ রানে হারিয়ে আবারও জয়ের ধারায় ফিরেছে আবাহনী।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে আবাহনী। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ২৮ রানে ফিরলেও, হাফ-সেঞ্চুরি তুলে থামেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। ১০টি চার ও ২টি ছক্কার সহায়তায় ৭৫ বলে ৭৯ রান করে আউট হন তিনি।
আবাহনীর মিডল-অর্ডার ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও, পাঁচ নম্বরে নেমে হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। ৬৯ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫২ রান করেন তিনি।
মিডল-অর্ডারে আফিফ হোসেন ৩১, জাকের আলি ২৭ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৩৩ রান করেন। ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রান করে আবাহনী। অগ্রনী ব্যাংকের পেসার এনামুল হক ৩টি উইকেট নেন।
জবাবে ৪৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় অগ্রনী ব্যাংক। ওপেনার আজমির আহমেদ ও মিডল অর্ডার ব্যাটার ইলিয়াস সানির জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে থাকে অগ্রনী ব্যাংক। ৪টি করে চার-ছক্কায় ৬৩ বলে ৬০ রান করে ফিরেন আজমির। ৮০ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন সানি। ২টি চার ও ৩টি ছয় মারেন তিনি।
আজমির-সানির ফেরার পর অগ্রণী ব্যাংকের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার অপরাজিত হাফ-সেঞ্চুরির লড়াকু ইনিংসটি বৃথা যায়। শেষ ওভারে ১৬ রানের দরকার পূরণ করতে পারেনি অগ্রনী ব্যাংক। ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫৮ রান করে ম্যাচ হারে অগ্রনী ব্যাংক। ৩টি চারে ৭১ বলে ৫৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মার্শাল। আবাহনীর রাকিবুল ইসলাম-নাহিদুল ইসলাম ২টি করে এবং সাইফুদ্দিন ১টি উইকেট নেন।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষে থাকলো আবাহনী। ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট আছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবেরও। রান রেটে পিছিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে আছে শেখ জামাল। ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দশমস্থানে অগ্রণী ব্যাংক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, Bangladesherkhela.com এর দায়ভার নেবে না।