স্টুয়ার্ট ব্রডের কপালটাই যেনো খারাপ। বড় মাপের বোলার হয়েও কলঙ্কগুলো জড়িয়ে থাকছে ক্যারিয়ারে। তাঁর ওভারগুলোকেই হয়তো বাইশ গজের ইতিহাসে লজ্জার রেকর্ড তৈরির জন্য বেছে নেন ক্রিকেট ঈশ্বর। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারেই যুবরাজ সিং এক ওভারে ছয়টি ছয় মারার রেকর্ড গড়েছিলেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এবং বিশ্বকাপে যা প্রথম। সেই ম্যাচে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন ব্রড।
সময় বদলালেও ভাগ্যের পরিবর্তন হল না। ওই লজ্জার নজিরের ১৫ বছরের মাথা আরও এক অবাঞ্ছিত রেকর্ডে নিজের জায়গা করে নিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। যুবরাজের ছয় ছক্কার পরে বুমরাহ নিলেন ওভারে ৩৫, ফের লজ্জার রেকর্ড স্টুয়ার্ট ব্রডের ভারতের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্টে এজবাস্টনে তাঁর এক ওভারে ৩৫ রান দিলেন ব্রড। তাও কোনও ব্যাটসম্যান নয়, ব্রডের মতো প্রথম সারির বোলারকে নিয়ে ছেলে খেলা করলেন এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বোলার জসপ্রীত বুমরাহ।
ব্যাট হাতে বুমরাহকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না তিনিই বিশ্ব ক্রিকেটের বর্তমানে শ্রেষ্ঠ বোলাদের তালিকায় প্রথম তিনে আসেন। বুমরাহ ব্য়াট হাতে তোলেন ২৯ রান এবং ওই ওভারে ৬ রান অতিরিক্ত খরচ করেন ব্রড।
ওভারের প্রথম বলটি ব্যাটের টপ এডজে লেগে চার হয়ে যায়। পরবর্তী বলটি বাউন্সার দেন ব্রড যা উইকেট কিপারের উপর দিয়ে বাউন্ডারি লাইনে চলে যায়। এই বলে আসে পাঁচ রান। তৃতীয় বলে আসে সাত রান। এটি নো বল ছিল এবং বুমরাহ তাতে ছয় মারেন। এর পরবর্তী তিন বলে তিনটি চার মারেল বুমরাহ এবং পঞ্চম বলে তিনি মারেন ছয়। শেষ বলটি শট রান নেন জসপ্রীত। বুমরাহ শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক রানের ওভার নেওয়ার নজির ছিল ব্রায়ান লারার। দক্ষিণ আফ্রিকার রবিন পিটারসনের ওভারে ২৮ রান নেন নিয়েছিলেন বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি তথা প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। ২০০৩ সালে ডিসেম্বর মাসে এই রেকর্ডটি তৈরি হয়েছিল। ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই এত দিন পর্যন্ত ছিল সব থেকে বেশি রানের রেকর্ড।, সেটাই এডিন এজবাস্টনে ভেঙে দিলেন বুমরাহ।