অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্ট জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন মাত্র ৩৫ রান। আর বাংলাদেশের ৭ উইকেট। ৮৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দিন শেষে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৪৫ রানে। প্রবাদ আছে, ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’। অর্থ্যাৎ সকালের সূর্যই বলে দেয়, দিনটি কেমন যাবে। স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা প্রথম সেশনেই আভাস দিয়ে দেন এই টেস্টের গতিপথ।
৩৫ রান নিয়ে খেলা শুরু করা সফরকারী দল তৃতীয় উইকেট হারায় ৬৪ তে। এরপর শুন্যর গন্ডি পেরিয়ে মমিনুল হকের ইনিংস থামে ব্যাক্তিগত ৪ রানে। দ্বিতীয় টেস্টে দলে জায়গা পাওয়াটাই অনিশ্চিয়তায় ফেলে দিলেন সাবেক অধিনায়ক। পারেননি লিটন দাস। মাহমুদুল হাসান জয় আউট ৪২ এ। তাতে লাঞ্চের আগেই ১০৯ রানে নেই ৬ উইকেট। ইনিংস পরাজয় তখন চোখ রাঙাচ্ছিলো টাইগারদের।
সাকিব আল হাসান আর নুরুল হাসান সোহানের দৃঢ়তায় সেই লজ্জা থেকে মুক্তি পায় বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেটে দুজনে যোগ করেন ২২১ বলে ১২৩ রান। টানা তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক। সোহানের ক্যারিয়ারে যোগ হয় দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি।
২৩৮ রানে সোহানের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২৪৫ এ। জবাবে, ১১ বলের মধ্যে তিন উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের চাপে ফেলেন খালিদ আহমেদ। চতুর্থ উইকেটে ক্যাম্পবেল আর ব্ল্যাকউড অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটি গড়ে।