বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উদযাপিত হয়েছে। এবছরের দিবসটির প্রতিপাদ্য “সবাই মিলে খেলা করি, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি"।
দিবসটি উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে রাজধানীর শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স থেকে এনএসসি টাওয়ার পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এসময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ, ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।
শোভাযাত্রা শেষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে শেখ কামাল অডিটরিয়ামে দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সকল ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, প্রশিক্ষক, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের ক্রীড়া অন্ত:প্রাণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে, যিনি সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে ৬ এপ্রিলকে জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অকুন্ঠ সর্মথন, সার্বিক সহযোগিতা ও সুনিপূণ দিকনির্দেশনায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন।
দিবসটি প্রতিপাদ্য ব্যাখ্যা করে প্রতিমন্ত্রী আরোও বলেন, সমাজে এখন মাদকের প্রভাব ব্যাপক। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হলে ক্রীড়াঙ্গনকে বড় ভুমিকা রাখতে হবে৷ একজন ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক মাদক থেকে দুরে থাকেন। কোনো ক্রীড়াবিদ মাদক গ্রহণ করতে পারে না। ক্রীড়াবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মাদকমুক্ত সমাজ উপহার দিয়ে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করব ইনশাল্লাহ।
উল্লেখ্য, দিবসটি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে।