টেস্টের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ওয়ানডে সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল না ভারত। কেপ টাউনে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ৪২.১ ওভারে ২২৩ রানের মাথায় ভারতের সপ্তম উইকেট পড়েছিল। সেখান থেকে ভারতকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেয় দীপক চাহার ও জাসপ্রীত বুমরাহ জুটি। শেষ ওভারে ভারতের জিততে দরকার ছিল ৬ রান। কিন্তু ডোয়েইন প্রিটোরিয়াসের দ্বিতীয় বলে যুজবেন্দ্র চাহাল আউট হতেই চার বল বাকি থাকতে ৪ রানে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
অষ্টম উইকেট জুটিতে ৫৫ রান যোগ করেন চাহার ও বুমরাহ। দীপক চাহারকে এদিনই প্রথম সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা সফরে নিজের ব্যাটিং দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তিনি। এদিনও তিনি পেলেন ফিফটি। ৩১ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন পাঁচ চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে। চাহার ও বুমরাহর পার্টনারশিপে ৫০ রান পূর্ণ হয় মাত্র ২৭ বলে। তার মধ্যে চাহারেরই ৩৮। ৩৪ বলে ৫৪ রান করে লুঙ্গি এনগিডির বলে আউট হন চাহার। ১৫ বলে ১২ রানে আউট হন জাসপ্রীত বুমরাহ। তখনও ভারতের জিততে দরকার ৯ বলে ৭ রান। কিন্তু তাতেও জয় এলো না!
সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। কেপ টাউনে ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে সম্মানরক্ষার লড়াই। কুইন্টন ডি ককের ১২৪ ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের ৫২ রান সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৯.৫ ওভারে ২৮৭ রানে বেঁধে ফেলেছিল ভারত। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ তিনটি এবং দীপক চাহার ও জসপ্রীত বুমরাহ দুটি করে উইকেট নিয়েছিলেন।
পিচে যে জুজু ছিল না তা বোঝা গিয়েছে দীপক চাহার ও জাসপ্রীত বুমরাহর ব্যাটিং দেখেই। কিন্তু মিডল অর্ডার আবারও হতাশ করলো। চারে নেমে দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলতে গিয়ে প্রথম বলেই উইকেট ছুড়ে দিয়ে ফেরেন ঋষভ পন্থ। শ্রেয়স আইয়ার ৩৪ বলে ২৬, সূর্যকুমার যাদব ৩২ বলে ৩৯ করলেও তা মোটেই যথেষ্ট ছিল না।
বিরাট কোহলি ৮৪ বলে সর্বাধিক ৬৫ রান করেন। শিখর ধাওয়ান করেন ৭৩ বলে ৬১। চাহার ও বুমরাহ ফেরার পরও দলকে জেতাতে পারলেন না প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও যুজবেন্দ্র চাহাল। চার বাকি থাকতেই ভারত ২৮৩ রানে অল আউট। ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে চাহার আউট হয়েছিলেন ২৭৮ রানের মাথায়। ৪৮.৩ ওভারে বুমরাহ ফেরেন দলের ২৮১ রানের মাথায়। লুঙ্গি এনগিডি ও আন্ডিল ফেহলাকওয়াইও তিনটি করে উইকেট নেন। ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস দুটি উইকেট পেয়েছেন। সিসান্ডা মাগালা ও কেশব মহারাজ পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
ম্যাচ ও সিরিজসেরার পুরস্কার পেয়েছেন কুইন্টন ডি কক। ২০১৮ সালে বিরাট কোহলির ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৫-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল। এবার হার তিনটি ম্যাচেই। হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় পাকাপাকিভাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরেই ভারত টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারলো।