ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১১৭ রানে হারিয়ে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করলো নিউজিল্যান্ড। এতে নিউজিল্যান্ডে প্রথমবার কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ড্র করলো বাংলাদেশ। ফলো অনে পড়া বাংলাদেশ, লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৮ রানে অলআউট হয়। এর আগে, নিউজিল্যান্ডের ৬ উইকেটে ৫২১ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় মুমিনুলরা। ম্যাচ সেরা টম ল্যাথাম। আর সিরিজ সেরা ডেভন কনওয়ে।
ব্যাটসম্যানদের বাজে কৌশলের মাশুল দিলো বাংলাদেশ। তাতে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ইনিংস পরাজয় মুমিনুলদের। লিটন দাসের মারকুটে সেঞ্চুরি শুধু পরাজয়ের ক্ষণকে কিছুটা পিছিয়ে দেয়। বল ছাড়তে না পারায় প্রথম ইনিংসে উইকেট বিলিয়ে দেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
কিন্তু হ্যাগলি ওভালে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা গেলো না। দিনের প্রথম সেশনে ৭৪ রান তুললেও বাংলাদেশ হারায়, সাদমান ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম শান্তর উইকেট। টিম সাউদির অফস্টাম্পের বাইরের বলে তালুবন্দি হওয়ার আগে ৯৮ বলে ২৪ রান করেন নাঈম শেখ। অধিনায়ক মুমিনুলও ফেরেন অফস্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে। প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা ইয়াসির আলীর বিদায়ে, ১২৮ রানে ৫ উইকেট বিসর্জন বাংলাদেশের।
এরপর নূরুল হাসান সোহানকে নিয়ে চলে লিটন দাসের প্রতিরোধ। ষষ্ঠ উইকেটে ১০১ রান যোগ করেন তারা। জুটি ভাঙে ৩৬ রানে থাকা সোহানের বিদায়ে।
মিরাজের সঙ্গে লিটনের জুটিও জমে নি। তবে কিউই বোলারদের ধ্বংসযজ্ঞেও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে ১০৬ বলে ১৪ চার আর এক ছক্কায় লিটন তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। জেমিসনের শিকার হওয়ার আগে, ১১৪ বলে ১০২ রান করেন লিটন। দলের সংগ্রহ তখন ৮ উইকেটে ২৬৯ রান।
এরপরই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। ২৭৮ রানে অল আউট মুমিনুল ব্রিগেড।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ভুলের বৃত্তে থাকা বাংলাদেশ হারলো ইনিংস ব্যবধানে। তবে কিউইদের মাটিতে প্রথম কোনো সিরিজ ড্র করতে পারার আনন্দ নিশ্চয়ই আসন্ন সিরিজগুলোতে চাঙ্গা করবে টাইগারদের।