কমলাপুরের বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামকে আলাদা করেই মানে রাখবে আবাহনী লিমিটেড। এক মাসও হয়নি এই মাঠ থেকে স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতে নিয়েছিল তারা। এবার তারা জিতে নিল ফেডারেশন কাপের শিরোপাও। অথচ গত তিন বছর শিরোপা শূন্য দলটি। রোববার বসুন্ধরা গ্রুপ ফেডারেশন কাপের ফাইনালে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে দলটি। ফাইনাল ও টুর্ণামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হন আবাহনীর ড্যানিয়েল কলিনড্রেস।
কমলাপুরে এদিন বসুন্ধরা গ্রুপ ফেডারেশন কাপের ফাইনালে রহমতগঞ্জকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী। চার বছর পর ফেডারেশন কাপের শিরোপা ঘরে তুলল তারা। এ আসরে এটা তাদের ১২তম শিরোপা।
২০১৮ সালে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরপরের দুই আসরে আর ফাইনালে উঠতে পারেনি আকাশী-হলুদ শিবির। আজ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তিন বছর আগের শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে। পাশাপাশি এএফসি কাপে খেলাও নিশ্চিত করে তারা।
তবে ফেডারেশন কাপের ফাইনালটি ছিল রহমতগঞ্জের ইতিহাস রচনার মঞ্চ। দেশের ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ এসেছিল রহমতগঞ্জের। সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে আবার। বছর দুই আগে বসুন্ধরা কিংসের কাছে স্বপ্নভঙের পর এবার আবাহনীর কাছে স্বপ্নভঙ্গ।
আবাহনী আজ ফাইনাল খেলতে নেমেছিল দুই ব্রাজিলিয়ানকে ছাড়াই। রহমতগঞ্জ প্রথমার্ধের ত্রিশ মিনিট দারুণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল খেলায়। বিশেষ করে আবাহনী থেকে রহমতগঞ্জে আসা সানডে চিজোবা দুইটি গোল মিস করেন। একবার আগুয়ান গোলরক্ষক শহিদুল ইসলাম সোহেলকে দেখে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। রহমতগঞ্জের আরেক বিদেশি ফিলিপও প্রথমার্ধে গোলের সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন। রাফায়েলে পরিবর্তে আবাহনীর অধিনায়কত্ব করা নবীব নেওয়াজ জীবন গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি।
প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে আবাহনীকে লিড এনে দেন কোস্টারিকার ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস। পরিকল্পিত আক্রমণে তিনি দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে গোল করেন। কলিন্দ্রেস এই রহমতগঞ্জের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে গোল করেছিলেন। এবার করলেন আবাহনীর জার্সিতে।
দ্বিতীয়ার্ধে প্রথমার্ধের রহমতগঞ্জকে আর পাওয়া যায়নি। আবাহনী ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ভালোভাবে। রাকিব হোসেন আরকেটি গোল করলে আবাহনীর শিরোপা উদযাপন ছিল অপেক্ষা মাত্র। দ্বিতীয়ার্ধে কলিন্দ্রেস কয়েকবার বক্সের মধ্যে গোলের সুযোগ পেয়েও মিস করেন।
৭৪ মিনিটে রহমতগঞ্জের ফিলিপ একটি গোল পরিশোধ করেন। গোলরক্ষক সোহেল পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসলেও বল ধরতে পারেননি। ম্যাচের বাকি সময় রহমতগঞ্জ সমতা আনার মতো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। আবাহনীও গোলের মুহূর্ত সেই রকম আদায় করতে না পারায় ২-১ গোলের স্কোরলাইন নিয়েই শেষ হয় ফাইনাল ম্যাচ।