চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৩ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। দিন শেষে স্বাগতিক দলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৯ রান। এর আগে তাইজুল ইসলামের স্পিন জাদুতে প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। তাতে ৪৪ রানের লিড পায় টাইগাররা। ১১৬ রান দিয়ে সাত উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েও স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক দল পড়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে। বাংলাদেশের ৩৩০ রানের জবাবে পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ২৮৬ রান। আবিদ আলীর শতক ও আব্দুল্লাহ শফিকের ফিফটিতে লিডের আশা জাগিয়েছিল দলটি। তবে তাইজুল ইসলামের অগ্নিঝরা বোলিংয়ে বাংলাদেশ ৪৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে।
তবে টাইগাররা প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে পারেনি। তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে ২৫ রান জড়ো করতেই মুমিনুল হকের দল হারিয়ে ফেলে চারটি উইকেট। একে একে বিদায় নেন সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক ও সাইফ হাসান। মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলীর ব্যাটে ভর করে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। মুশফিক ১২ আর ইয়াসির ৮ রান নিয়ে সোমবার ব্যাট করতে নামবেন।
এরআগে দিনের শুরুতে ১৪৫ রান নিয়ে খেলতে নামা পাকিস্তানকে একাই ধসিয়ে দেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। মাত্র এক রান যোগ হতেই সফরকারীদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন তিনি। ৫২ করা আব্দুল্লাহ শফিকের পর অভিজ্ঞ আজাহার আলীকেও এলবির ফাঁদে ফেলে গোল্ডেন ডাক উপহার দেন তাইজুলই। এরপর পাকিস্তানী অধিনায়ককে বোকা বানিয়ে সাজঘরে ফেরান মেহেদী মিরাজ। আর ফাওয়াদ আলম তাইজুলের তৃতীয় শিকারে পরিনত হলে ৪ উইকেট নিয়ে প্রথম সেশন নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা।
চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে টাইগারদের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছিলেন আবিদ আলী (সেঞ্চুরি)। ব্যক্তিগত ১৩৩ রানে তাকেও বিদায় করেন সেই তাইজুলই। এরপর হাসান আলীকে সাজঘরে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারে নবমবার ৫ উইকেটে স্বাদ পান বাঁহাতি এই স্পিনার।
রিজওয়ানের পর সাজিদকে আউট করে সমালোচনার কিছুটা জবাব দেয়ার চেষ্টা করেন ইবাদত। তবে সফরকারীদের লেজটা গুটিয়ে দেয়ার দায়িত্বটাও নিয়ে নেন তাইজুলই। ৩৮ করা ফাহিম আশরাফকে নিজের সপ্তম শিকাপের পরিনত করে পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে থামিয়ে দুই সেশনের নায়ক বনে যান তাইজুল ইসলাম। তার স্পিন যাদুতেই ৪৪ রানের লিড পায় টাইগাররা।