টোকিও অলিম্পিকে দ্রুততম মানবের খেতাব জিতলেন ইতালির লেমন্ট মার্শেল জ্যাকবস। ১০০ মিটারে সোনার পদক জয়ে তিনি সময় নেন ৯ দশমিক আট শূন্য সেকেন্ড।
এক যুগ ধরে অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সবচেয়ে আকর্ষণ হয়েছিলেন জ্যামাইকার উসাইন বোল্ট। মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তিনি। টানা তিন অলিম্পিকে ধরে রাখেন নিজের শ্রেষ্ঠত্ব। এবারের টোকিও অলিম্পিকে ছিলেন না তিনি। সবার অপেক্ষা ছিল, কে দখল করবেন বোল্টের ছেড়ে যাওয়া আসন? হবেন অলিম্পিকের দ্রুততম মানব।
অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রেড কার্লি এবং কানাডার আন্দ্রে ডি গ্রাসকে পেছনে ফেলে অলিম্পিকের স্বর্ণ জয় করেন লেমন্ট মার্সেল জ্যাকবস। ফেভারিটের তালিকায় কখনোই ছিলেন না জ্যাকবস। সেমিফাইনালে নিজের হিটে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের রেকর্ড ভেঙেছিলেন। তবুও তাকে ফেভারিটের তালিকায় না রাখার বড় কারণ অলিম্পিকে ১০০ মিটারে ইতালির সাফল্য খরা। ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকে সর্বশেষ ব্রোঞ্জ জিতেছিল তারা।
৯.৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই ইভেন্টের রুপা জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রেড কারলি। ৯.৮৯ সেকেন্ড দৌড়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন কানাডার আন্দ্রে দি গ্রাস। নিজেদের ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে তারা সবাই দৌড়েছেন আজকেই।
গত অলিম্পিকে বোল্ট ৯.৮১ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছিলেন। এবার অবশ্য তার চেয়ে ০.১ সেকেন্ড কম সময় নিয়েছেন জ্যাকবস। অবশ্য বোল্টের বিশ্বরেকর্ডের কাছেও যেতে পারেননি জ্যাকবস।
২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে ৯.৬৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে অলিম্পিকের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। বিশ্বরেকর্ডটি তার আরও আগের। ২০০৯ সালে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশশিপে ৯.৫৮ সেকেন্ড সময়ে ১০০ মিটার দৌড়েছিলেন তিনি। টোকিও অলিম্পিকে এই ইভেন্টের ফাইনালে অবশ্য ছিলেন না বোল্টের দেশ জ্যামাইকার কেউ।
২০০৪ সালে এথেন্সের পর প্রথমবারের মতো জ্যামাইকান কিংবদন্তি উসাইন বোল্টের অবসরের পর পুরুষদের ১০০ মিটার অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হলেন জ্যাকবস।