জয় দিয়েই জিম্বাবুয়ে সফর শুরু করলো বাংলাদেশ। হারারেতে একমাত্র টেস্টে স্বাগতিকদের ২২০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় টাইগারা। এতে জিম্বাবুয়ের মাটিতে দ্বিতীয় জয় পেলো মুমিনুল হকের দল। তাছাড়া ম্যাচ সেরা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের টেস্ট থেকে অবসর ঘোষণায় বিষাদের সুর নামে বাংলাদেশের আনন্দ উদযাপনে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৬৮ রানের জবাবে ২৭৬ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। আর দ্বিতীয় ইংনিসে ১ উইকেটে ২৮৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে মুমিনুলরা। পরে ২৫৬ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। প
কাঙ্খিত জয়ই পেলো বাংলাদেশ। আর এই জয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে জিম্বাবুয়েকে ছাড়িয়ে গেলো মুমিনুলরা। ১৮ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ জয় এখন বাংলাদেশের। তাছাড়া হারারেতে দ্বিতীয় টেস্ট জিতলো টাইগাররা। এতো খুশির মাঝেও বিষন্নতার পরশ বুলিয়ে যায় মাহমুদুল্লাহর হঠাৎ অবসর।
শেষ দিনে রেকর্ড রান করে জয়ের পেছনে না ছুটে স্বাগতিকরা ড্রয়ের দিকেই মন দেয়। আগের দিনের ৩ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে খেলতে নেমে বাংলাদেশের স্পিনবিষে নীল হয় জিম্বাবুইয়ানরা। ভেঙে পড়ে তাদের সব প্রতিরোধ। দলীয় ১৫৯ রানে ডিওন মায়ার্সকে তুলে নেওয়ার তিন বল পর টিচিমেন মারুমাকে বোকা বানিয়ে সাজঘরে মেহেদী হাসান মিরাজ।
মিরাজের জোড়া আঘাতের পর তাসকিন। স্পিনের পর পেসে কুপোকাত জিম্বাবুয়ে। রানের খাতা খোলার আগেই রয় কাইয়াকে লেগ বিফোরের ফাঁদে। উইকেটকিপার রেগিস চাকাভার উইকেট উপড়ে ফেললে ১৬৪ রানে ৭ উইকেটে পরিণত হয় জিম্বাবুয়ে। সুযোগ পেলেও জুটি গড়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকে জিম্বাবুইয়ানদের। কিন্তু তাসকিন-এবাদত-মিরাজরা সে সুযোগ দেয়নি স্বাগতিকদের।
এরআগে সকালে সবাইকে চমকে দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় জানান বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। প্রায় দেড় বছর পর টেস্টে সুযোগ পেয়েই দলকে ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচান। পাশাপাশি ১৫০ রানের অপরাজিত ইনিংসে টাইগারদের জিম্বাবুয়ে জয়ে নেতৃত্বও দেন। অনেকটা অভিমান থেকে সরে গেলেও সতীর্থরা কিন্তু সম্মান জানাতে ভোলেনি প্রিয় মাহমুদুল্লাহকে।