মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ জুটির কল্যাণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রানের বিশাল সংগ্রহ তুলেছে বাংলাদেশ। অথচ টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় বহু আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিলো টাইগারদের। এই সংগ্রহের পথে সবচেয়ে বেশি অবদান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ জুটির। তারা গড়েন ১৯১ রানের জুটি।
২৭০ রানে যখন বাংলাদেশ অষ্টম উইকেটটি হারায় তখন ক্রিজে এসেছিলেন তাসকিন। আর যখন তিনি সাজঘরে ফেরেন তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৬১ রান। তাদের জুটিতে এসেছে ১৯১ রান। বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার পথে গড়া এই জুটিতে বেশ কয়েকটি রেকর্ড ভেঙেছেন মাহমুদুল্লাহ ও তাসকিন। তাসকিন খেলেছেন নিজের ক্যারিয়ার সেরা ৭৫ রানের ইনিংস। মোকাবেলা করেন ১৩৪টি বল। হাঁকিয়েছেন ১১টি চার।
নবম উইকেটে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। আগের রেকর্ডটিতেও ছিল রিয়াদের অবদান। আবুল হাসান রাজুর সাথে রিয়াদ গড়েছিলেন ১৮৪ রানের জুটি। তাসকিন নিয়ে এবার সেই রিয়াদই নতুন আরেক রেকর্ড লিখলেন। টেস্ট ইতিহাসে নবম উইকেটে এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। মাত্র ৪ রানের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও প্যাট সিমকক্সের গড়া ১৯৫ রানের রের্কড স্পর্শ করতে পারেন নি তারা। ১৯৯৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ওয়ান্ডরার্স স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই রের্কড গড়ে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশের মাটিতে পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের জুটি তাসকিন-রিয়াদের এই ১৯১ রান।
বলের হিসেবে নবম উইকেটে বিশ্ব ক্রিকেটে এটি দশম সর্বোচ্চ জুটি। তাসকিন-রিয়াদ জুটি খেলেছেন ২৭৬টি বল। বিদেশের মাটির হিসেবে সেটি দাঁড়ায় পঞ্চম সর্বোচ্চে। রান রেটের হিসেবে তাসকিন-রিয়াদ জুটি দ্বিতীয় স্থানে। ১৯১ রান তুলতে তাদের ওভার প্রতি রান রেট ছিল ৪.২৪।
তাসকিন ৭৫ রানে সাজঘরে ফিরলেও রিয়াদ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। দল যখন অলআউট হয়ে যায় তখন রিয়াদের সংগ্রহ ১৫০ রান। তার ২৭৮ বলের অপরাজিত ইনিংসটিতে ছিল ১৭টি চার ও ১টি ছক্কা।