ইউরো ফুটবলে শেষ ষোলোর ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে ইউক্রেন। অলেকজান্ডার জিনচেঙ্কোর গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সুইডেনকে ম্যাচে ফেরান এমিল ফর্সবার্গ। টাইব্রেকারের পথে ছিল ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের যোগ করা টাইমে গোল করে দলকে জয় এনে দেন বদলি খেলোয়াড় আর্তেম।
গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্ক স্টেডিয়াম ইউক্রেন কোচ আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর কাছে খুব পয়া নয়। এই মাঠে খেলোয়াড় জীবনে স্কটিশদের কাছে ১-৩ হেরেছিলেন তিনি। সেই মাঠেই মঙ্গলবার রাতে কোচ হিসেবে ৫০তম ম্যাচে সফল শেভচেঙ্কো। ২-১ গোলে সুইডেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর দল।
খেলার শুরুতেই ইউক্রেনকে চেপে ধরেছিল সুইডেন। তবে প্রথম ভালো সুযোগটি পায় কিন্তু ইউক্রেনই। ১১ মিনিটে কাছ থেকে রোমান ইয়ারেমচুকের নেওয়া নিচু শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান সুইডিশ গোলরক্ষক রবিন ওলসেন। ১৮ মিনিটে সুযোগ পান ফর্সবার্গ। সতীর্থের ক্রস ডি-বক্সে লাফিয়ে ঠিকমতো হেড করতে পারেননি। পরের মিনিটে ডি-বক্সে আলেক্সজান্ডার ইসাকের শট লক্ষ্যে থাকেনি।
২৭ মিনিটে সুইডেন বক্সে ইয়ারমোলেঙ্কোর পা ঘুরে বল আসে অরক্ষিত জিনচেঙ্কোর কাছে। জোরালো শটে তিনি এগিয়ে দেন ইউক্রেনকে। তবে প্রথমার্ধেই সমতা ফেরায় সুইডেন। খেলার ৪৩ মিনিটে সুইডেনের আলেক্সজান্ডার ইসাকের থেকে বল পেয়ে ২৫ মিটার দূর থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে সমতা ফেরান এমিল ফর্সবার্গ।
বিরতির পরেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়ে সুইডেন। এই সময় দু’বার পোস্টে লেগে ফেরে ফর্সবার্গের শট। কিন্তু নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনও দল গোল করতে না পারায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৮ মিনিটে সুইডেনের মার্কাস ড্যানিয়েলসন ইউক্রেনের আর্তেম বেসেডিনকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখলে শেষ ২২ মিনিট ১০ জনে খেলতে হয় সুইডেনকে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে জিনচেঙ্কোর ক্রসে মাথা ছুঁয়ে ইউক্রেনকে জয় এনে দেন আর্তেম দভবিক। শেষ আটে তাঁদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।