এবার ইউরোপিয়ান কাপ থেকে ছিটকে গেল জোয়াকিম লো-র দল জার্মানি। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে উঠে গেল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে গোল দুটি করেন রাহিম স্টার্লিং ও হ্যারি কেন। ১৯৬৬ সাল থেকে জার্মানিকে কখনও বিশ্বকাপ ও ইউরোতে হারাতে পারেনি থ্রি লায়ন'রা। ফলে এদিনের এই জয় নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডের স্মরণীয় জয় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইলো।
প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দুই দলই সুযোগ তৈরি করেছিল, কিন্তু গোল হয়নি। ম্যাচের প্রথম মিনিটে থেকে চলে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। তবে বিরতির আগে নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউ। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচেই জাল অক্ষত রাখা ইংল্যান্ডের রক্ষণ এদিনও ছিল জমাট। প্রথম তিন ম্যাচে পাঁচ গোল হজম করা জার্মানির রক্ষণভাগের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সও ছিল দারুণ।
খেলার ৩০ মিনিটে ডান দিক থেকে ইয়াসুয়া কিমিখ দূরের পোস্টে দারুণ ক্রস বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু জায়গামতো পৌঁছাতেই পারেননি রবিন গোজেন্স। দুই মিনিট পর সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন টিমো ভেরনার। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। সময়মতো এগিয়ে গিয়ে রুখে দেন ইংলিশ গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড।
বিরতির ঠিক আগে মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের ভুলে বল পেয়ে আক্রমণে ওঠেন রাহিম স্টার্লিং। ডি-বক্সের মুখে ডিফেন্ডারদের বাধায় যদিও পড়ে যান তিনি, কিন্তু বল পেয়ে যান ফাঁকায় দাঁড়ানো হ্যারি কেইন। তবে ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি রাশিয়া বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬ গোল করা এই স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে দূর থেকে বুলেট গতির শটে পিকফোর্ডের পরীক্ষা নেন কাই হাভার্টজ। দারুণ দক্ষতায় কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
৭৫ মিনিটে ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে। ৮১ মিনিটে ইংল্যান্ড গোলকিপার পিকফোর্ডকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি টমাস মুলার। ফলে সমতা ফেরানোর সুযোগ নষ্ট হয়। ৮৬ মিনিটে গ্রিলিশের ক্রস থেকে হেডে গোল করে ব্যবধান বাড়ান হ্যারি কেন। ইউরো ও বিশ্বকাপ মিলিয়ে সাতটি গোল করে ওয়েন রুনিকে স্পর্শ করলেন কেন। লিনেকার ১০টি ও শিয়েরার ৯টি গোল করেছেন মেজরে।
এই জয়ে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ হবে সুইডেন ও ইউক্রেনের মধ্যকার বিজয়ী দল।