অলিম্পিকে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলে অ্যাথলেটদের ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে খেলার সুযোগ করে দেয় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কাউন্সিল-আইওসি। ১৯৯২ সালের বার্সেলোনা অলিম্পিক থেকে শুরু করে ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে প্রতিবারই অলিম্পিক গেমসে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ শ্যূটাররা। কিন্তু সেই সুযোগ এবার ছিল না। এ কারণেই টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেয়া নিয়ে সংশয়ে ছিলেন শ্যূটার আবদুল্লাহ হেল বাকী। তবে আইওসির বিশেষ ব্যবস্থায় পাওয়া সুযোগে সেই সংশয় দূর হয়েছে। টোকিও অলিম্পিকে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে অংশ নেবেন কমনওয়েলথ গেমসে দু’বার রূপাজয়ী এই শ্যূটার।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন-বিওএ বাকীর টোকিও যাওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছে শ্যূটিং স্পোর্ট ফেডারেশনকে। শ্যূটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইন্তেখাবুল হামিদ অপু বলেন, 'আমরা বিওএ থেকে এ বিষয়ে চিঠি পেয়েছি। এবারের টোকিও অলিম্পিকের শুটিং ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন বাকী।' এর আগে ২০১৬ রিও অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন বাকী। আবারও অলিম্পিকে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে ভীষণ খুশি। নৌবাহিনীর এই শ্যূটার বলেন, 'এবারের অলিম্পিকে যেতে পারবো কি না, তা নিয়ে গত কয়েক মাস বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। যেকোনো অ্যাথলেটেরই স্বপ্ন থাকে অলিম্পিকে অংশ নেয়ার। আমার জন্য এটা অবশ্যই অনেক আনন্দের একটা খবর। এবার নির্ভার হয়ে অনুশীলন করতে পারবো।'
রিও অলিম্পিকে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বাকী বাছাইপর্বে হয়েছিলেন ২৫তম। রিও ডি জেনিরোর অলিম্পিক রেঞ্জে মোট ৭২০ পয়েন্টের মধ্যে বাকীর স্কোর ছিল ৬২১.২। তবে এবার বাকী স্কোরে আরও উন্নতি করতে চান। তিনি বলেন, 'এবার অলিম্পিকে অন্তত ৬২৭ স্কোর করতে চাই। এই স্কোরে আশা করি বাছাইপর্ব পার হতে পারবো।'
শ্যূটিংয়ের বাইরে বাংলাদেশ থেকে এরই মধ্যে টোকিও অলিম্পিকে অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করেছেন তীরন্দাজ রোমান সানা, সাঁতারু আরিফুল ইসলাম ও জুনায়না আহমেদ এবং অ্যাথলেট জহির রায়হান। এরমধ্যে রোমান সানা নিজের যোগ্যতা বলে জায়গা করে নিয়েছেন অলিম্পিকে। বাকিরা যাচ্ছেন ওয়াইল্ড কার্ডে।