পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ শুরু করল আবাহনী লিমিটেড। বৃষ্টি আইনে ১০ ওভারে ৭০ রানের টার্গেট, আবাহনী ৪ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় আকাশি-হলুদ শিবির।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে, ১০ ওভারে ৭০ রানের টার্গেটে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় আবাহনী। ইমরান আলী ইনামের বলে নাজমুল হোসেন শান্ত উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৫ বলে ২ রান করে।
দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও নাঈম শেখ। ১৭ বলে ১৯ রান করে নিহাদুজ্জামানের শিকার হন নাঈম। শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য আবাহনীর প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
চার হাঁকিয়ে দলে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন মুশফিক। ২৬ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত থাকেন তিনি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত অপরাজিত ছিলেন ৪ বলে ৬ রানে।
এরআগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে পারটেক্স। মেহেদী হাসান রানার শিকার হন ওপেনার সায়েম আলম রিজভী। আবাহনীর পক্ষে দ্বিতীয় উইকেটটিও শিকার করেন রানা। এই বাঁহাতি পেসারের পরে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের ঘূর্ণি বিষের সামনে পড়ে পারটেক্স। শফিউল হায়াত হৃদয় ও ধীমান ঘোষকে শিকার করেন তাইজুল।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পারটেক্সের রানের গতিও হতে থাকে নিম্নমুখী। এরই মধ্যে আবার মাঠে হানা দেয় বৃষ্টিও। বৃষ্টির আগে ১৩.৪ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৭২ রান সংগ্রহ করে পারটেক্স। তাইজুল ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচ করে শিকার করেন ২টি উইকেট।
পারটেক্সের পক্ষে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন কেবল তাসামুল হক। তবে টি-টোয়েন্টির উপযুক্ত ব্যাটিং তিনি করতে পারেননি। ৫৭ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তাসামুল। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার। এছাড়া মঈন খানের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২২ রান। নাজমুল হোসেন মিলন করেন ১০ বলে ৭ রান।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫টি উইকেট হারিয়ে ১২০ রান সংগ্রহ করেছে পারটেক্স। আবাহনীর পক্ষে রানা ৩২ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন। তাইজুল ১২ রানে তুলে নেন ২ উইকেট।
বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত বিকেএসপি'র দুই ম্যাচ
দিকে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ডের তিন ম্যাচেই হানা দিয়েছে বৃষ্টি। ডিএল পদ্ধতিতে মিরপুরে আবাহনী-পারটেক্সের ফলাফল আসলেও বিকেএসপির দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।
বিকেএসপির তিন নং মাঠে ওল্ড ডিওএইচএসের মুখোমুখি হয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। মাহমুদুল হাসান জয়ের ৫৪ বলে ৭৭ রান ও রাকিন আহমেদের ৩৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে ভর করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭১ রানের পুঁজি পায় ওল্ড ডিওএইচএস। এরপরই নামে বৃষ্টি। আর ব্যাটিং করা হয়নি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের।
বিকেএসপির চার নং মাঠে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে মাঠে নামে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দুই ওপেনার মিজানুর রহমান আর জুনায়েদ সিদ্দিকী ভালো সূচনা এনে দিলেও মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে থিতু হতে না পারায় বিপদে পড়ে যায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। বৃষ্টি নামার আগ পর্যন্ত ১৮.৪ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে তারা। জুনায়েদ করেন ৫১ বলে ৪৮ রান এবং মিজানুর করেন ২৫ বলে ৩১ রান। বৃষ্টির কারণে আর কোনো বল মাঠে গড়ায়নি।