সাত বছরের অপেক্ষা শেষ হলো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। প্রতিবেশি রিয়াল মাদ্রিদকে পেছনে ফেলে ১১তম বার লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হলো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। লিগের শেষ ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ভায়াদোলিদকে ২-১ গোলে পরাজিত করে সুয়ারেজরা।
শনিবার রাতে শিরোপা জয়ের সমীকরণটা স্পষ্ট ছিল দিয়েগো সিমোনের দলের কাছে। জিতলেই প্রবলতর প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচের কোনও ফলাফলই চ্যাম্পিয়নশীপ আটকাতে পারত না অ্যাটলেটিকোর। কিন্তু জয় ছাড়া অন্য কোনও ফলাফল হলেই বিপদ। নাটকীয়তা আর চূড়ান্ত ক্লাইম্যাক্সে ভরা শনিবার দিনটা ধরা দিল ঠিক যেমনটা প্রত্যাশিত ছিল সেভাবেই।
অ্যাটলেটিকোর কাছে মাত্র দু’পয়েন্টে হেরে খেতাব হাতছাড়া করা রিয়াল মাদ্রিদও পিছিয়ে থেকে জয় পেল শেষ ম্যাচে। কিন্তু জিতেও লাভ হল না। অ্যাটলেটিকো নিরাপদ ব্যবধান বজায় রেখে খেতাব ঘরে তুলল ২০১৪ পর। তবে এদিন ম্যাচের বিরতিতে পিছিয়ে ছিল দু’দলই। অবনমনের আওতায় থাকা ভায়াদোলিদ ঘরের মাঠে ১৮ মিনিটেই এগিয়ে যায়। পাল্টা আক্রমণে গোল করেন অস্কার প্লানো।
কিন্তু গত ম্যাচের মতোই দ্বিতীয়ার্ধে কামব্যাক করে অ্যাটলেটিকো। ৫৭ মিনিটে বক্সের সামান্য বাইরে থেকে দুরন্ত প্লেসিংয়ে সমতা ফেরান অ্যাঞ্জেল কোরেয়া। এই গোলের ১০ মিনিট পর প্রতি-আক্রমণ থেকে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করে চ্যাম্পিয়নশীপ নিশ্চিত করেন লুইস সুয়ারেজ। লিগে এটি ছিল তাঁর ২১তম গোল। বার্সেলোনা থেকে বিতাড়িত হয়ে আটলেটিকোয় খেতাব জিতে মোক্ষম জবাব ছুঁড়ে দিলেন ঊরুগুয়ে স্ট্রাইকার।
লিগের অন্য ম্যাচে ৮৬ মিনিট অবধি পিছিয়ে থেকেও জয় পেল জিদানের দল রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে এদিন ভিলারিয়ালের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে ২০ মিনিটে গোল হজম করে লস ব্ল্যাঙ্কো-রা। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগে সেই গোল শোধ করেন করিম বেনজেমা। এরপর ইনজুরি টাইমে গোল করে দলকে জয় এনে দেন লুকা মদ্রিচ। কিন্তু অ্যাটলেটিকোর জয়ে, রিয়াল ফুটবলারদের এই প্রত্যাবর্তন বিফলেই গেল।
৩৮ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে স্প্যানিশ লা লিগায় চ্যাম্পিয়ন হলো দিয়েগো সিমোনের দল। আর সমান ম্যাচে ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করলো।