শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পর কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবি'র ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান এ কথা জানান।
শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ১২ এপ্রিল দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আগামী মে মাসে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফর করবে শ্রীলংকা। যা আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিলো বিসিবি'র। তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পরই শ্রীলংকা সিরিজ থাকায় কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা পরে প্রকাশ করার সিদ্বান্ত নেয়া হয়।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, আমরা এই বছরের জন্য চুক্তির তালিকা এখনও ঘোষণা করিনি। শ্রীলংকার বিপক্ষে দু’টি সিরিজের পর আমরা ঘোষণা করবো। নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর এই বিষয় নিয়ে বসতে চেয়েছিলাম কিন্তু শ্রীলংকা সিরিজটি সামনে থাকায় আমাদের তারিখ পিছিয়ে দিতে হয়েছে।
গেল বছরের মার্চে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রস্তুত করেছিল বিসিবি। প্রথমবারের মতো লাল বল ক্রিকেট (টেস্ট ক্রিকেট) এবং সাদা বল ক্রিকেটের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) জন্য আলাদা চুক্তি দেয়া হয়েছিলো। ১৬ জন খেলোয়াড়কে চুক্তিতে রাখা হয়েছিলো।
সাতজন খেলোয়াড় তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে ছিলেন। তারা হলেন- তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক, নাইম হাসান, আবু জায়েদ রাহি ও এবাদত হোসেনকে শুধুমাত্র লাল বলের চুক্তিতে রাখা হয়েছিলো। আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, আফিফ হোসেন ও নাইম শেখকে ছিলেন সাদা বলের ক্রিকেটে।
কেন্দ্রীয় চুক্তি না থাকার ইচ্ছা গেল বছরই বোর্ডকে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। নিষেধাজ্ঞার কারণে চুক্তিতে জায়গা হয়নি সাকিব আল হাসানের। তবে এ বছর চুক্তিতে ফিরবেন সাকিব।
আইপএলের কারণে শ্রীলংকা সিরিজ থেকে সাকিব সড়ে যাওয়ায় অসন্তুষ্ট মনে হয়েছিলো বিসিবিকে। ঐ সিদ্বান্তের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ফরম্যাট পছন্দ সম্পর্কে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নেয়া হবে।