ম্যাচ সেরা অ্যাস্টন অ্যাগারের ঘূর্ণিবিষে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৬৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পাচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়াইয়ে ফিরলো অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য সিরিজ বাঁচাতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে জয়ের বিকল্প ছিল না। টানা দুই পরাজয়ে সমালোচনাও হচ্ছিল তীব্র। শেষ পর্যন্ত ওয়েলিংটনে ভাগ্য বদলালো অজিদের। অ্যাস্টন অ্যাগার ৩০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে দলকে জেতানোর পাশাপাশি ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন।
অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২০৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই মারমুখি ভূমিকায় নামেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার মার্টিন গাপটিল। তবে সফরকারীদের ম্যাচে ফেরান অভিষিক্ত রিলে মেরিডিথ। বিগ ব্যাশ মাতিয়ে আসা এই পেসার নিজের এক স্পেলে ফেরান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান টিম সেইফার্ট এবং অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে। টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানকে হারানোর পরেও ইনিংস মেরামতের কাজটা করে যাচ্ছিলেন গাপটিল।
সঙ্গী ছিলেন ডেভন কনওয়ে। তবে ২৮ বলে ৪৩ রান করা গাপটিলকে সাজঘরে ফেরান স্পিনার এডাম জাম্পা। এরপর কনওয়ে কিছুটা লড়াইয়ে আভাস দিলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ৩৮ রান করেন কনওয়ে। ইনিংসের ১৩ তম ওভার এবং নিজের ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে প্রথম আঘাত হানেন অ্যাগার।
এই ওভারে বোলিংয়ে এসে দুই রানের বিনিময়ে তুলে নেন কিউইদের তিন উইকেট। একে একে ফেরান গ্লেন ফিলিপস, কনওয়ে এবং নিশামকে। মূলত এই ওভারেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় নিউজিল্যান্ড।
এরপর শুধুই কিউইদের হতাশার আসা-যাওয়া। মার্ক চ্যাপম্যানের ১৪ এবং কাইল জেমিসনের ১১ রান বাদে আর কেউ দুই সংখ্যাতেই পৌঁছাতে পারেননি। অ্যাগারের ৬ উইকেট বাদে ২ উইকেট নিয়েছেন মেরিডিথ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন জাম্পা এবং কেন রিচার্ডসন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের শুরুতেই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েডকে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। এরপর জস ফিলিপকে নিয়ে দলীয় ইনিংস গড়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক ফিঞ্চ।
এই দুজনের ৮৩ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের আভাস পায় সফরকারী দল। ফিলিপ ৪৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও বাজে সময় কাটাতে থাকা ফিঞ্চ ঠিকই অর্ধশতক তুলে নেন। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৪৪ বলে ৬৯ রানের ইনিংস। এই দুজনকেই ফেরান ইশ সোধি।
এরপর কিউই বোলারদের উপর তাণ্ডব চালান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর খেলা ৩১ বলে ৭০ রানের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২০৮ রান তোলে অজিরা।
স্বাগতিকদের হয়ে এদিন বল হাতে দুই উইকেট নেন সোধি। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন বোল্ট এবং টিম সাউদি। তবে ভুগতে হয়েছে জেমি নিশামকে। এই অলরাউন্ডারের করা চার ওভারে ৬০ রান তুলে নেয় ফিঞ্চের দল।