অ্যাশলে বার্টি ও রাফায়েল নাদালের পর এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিস থেকে বিদায় নিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। আজ বৃহস্পতিবার মেলবোর্নে সেমিফাইনাল ম্যাচে জাপানি ঝড় নাওমি ওসাকা থামিয়ে দিলেন সেরেনা উইলিয়ামসের বিজয়রথ। ২৪তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে রেকর্ড স্পর্শ করার লক্ষ্যে এগোচ্ছিলেন অভিজ্ঞ সেরেনা। তবে তাঁর সেই অপেক্ষা বাড়িয়ে দিলেন নাওমি ওসাকা।
পাঁচদিন লকডাউন কাটানোর পর ফের রড লেভার অ্যারেনায় দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মহিলা সিঙ্গলসের প্রথম সেমিফাইনালে তৃতীয় বাছাই ওসাকার সামনে ছিলেন ২০১৭ সালে শেষবার অস্ট্রেলিয়ডন ওপেন চ্যাম্পিয়ন সেরেনা। যদিও শেষ হাসি হাসলেন জাপানের ওসাকাই। সেরেনাকে তিনি ছিটকে দিলেন ৬-৩ ও ৬-৪ গেমে জিতে। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার পর এই নিয়ে চতুর্থবার কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের আগে হারলেন সেরেনা। ২০১৮-র ইউ এস ওপেন ফাইনালেও উত্তেজক লড়াইয়ে তাঁকে হারান ওসাকা।
এদিন শুরুটা ভালোই করেছিলেন সেরেনা, প্রথম সেটে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। যদিও পরের পাঁচটি গেম জিতে নেন ওসাকা। তিনি বলেছেন, প্রথম দিকে পাঁচটি আনফোর্সড এরর করায় নার্ভাসও হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু তারপর ছন্দে ফিরেছি, ম্যাচ উপভোগ করেছি। সেরেনার বিরুদ্ধে খেলা সত্যিই সম্মানের। তবে আমিও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাইনি। তাই নিজের সেরাটাই দিয়েছি। মজার কথা হলো, বর্তমানে ৩৯ বছরের সেরেনা যখন তাঁর কেরিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম সেমিফাইনাল খেলেছিলেন ইউএস ওপেনে লিন্ডসে ডাভেনপোর্টের বিরুদ্ধে, তখন ওসাকার বয়স মাত্র এক বছর। ওসাকা এই ম্যাচের আগে সেরেনার সঙ্গে দ্বৈরথে ২-১-এ এগিয়ে থাকলেও সেরেনার পক্ষে ছিল আরেক পরিসংখ্যান। গত ১৮ বছরে ৮ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে হারেননি তিনি। কিন্তু আজ সেই রেকর্ডে ছেদ পড়ে।
ফাইনালে ওসাকার সামনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনিফার ব্র্যাডি। শীর্ষ বাছাই অ্যাশলে বার্টিকে ছিটকে দিলেও ফাইনালে উঠতে পারলেন না চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা মুখোভা। তিন সেটের লড়াইয়ে প্রথম সেট জেতেন ব্র্যাডি। পরের সেট জিতে লড়াইয়ে ফেরেন মুখোভা। স্নায়ুর লড়াইয়ে উত্তেজক নির্ণায়ক সেটটি জিতে ফাইনালের টিকিট আদায় করে নেন ২২তম বাছাই জেনিফার ব্র্যাডি। ১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটের লড়াই শেষে খেলার ফল ৬-৪, ৩-৬ ও ৬-৪। তৃতীয় সেটে ব্র্যাডি ৫-৩-এ এগিয়ে যেতেই পরের গেম জেতেন মুখোভা। এরপরের নির্ণায়ক গেমটি চলে ১৮ মিনিট। শেষ হাসি হাসেন অবশ্য ব্র্যাডি।