ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ‘হোয়াইট ওয়াশ’ করার দিনে রেকর্ডের জন্ম দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও। তিন ফরমেট মিলিয়ে ঘরের মাঠে সাকিব আল হাসানের ৬ হাজার রান ও ৩শ’ উইকেট নেওয়ার একমাত্র রেকর্ড, বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিকুর রহিমের সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলার রেকর্ড স্মরণীয় করে রাখবে এই সিরিজটিকে।
কদিন আগেই মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গড়েছিলেন এক ভেন্যুতে আড়াই হাজার রান ও ১০০ উইকেট দখলের মাইলফলক। এবার আরও একটি কীর্তি গড়লেন বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নিজের দেশে খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের রেকর্ড গড়েন সাকিব। ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এই রেকর্ড গড়লেন বাংলাদেশের পোস্টার বয়।
সাকিব এই কীর্তি গড়েন ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘরের মাঠে তিনশ’র বেশি উইকেট ছিল আগে থেকেই। চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫১ রানের ইনিংস খেলার পথে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের পর তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দেশের মাটিতে ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। এই রেকর্ড গড়ার পথে তাকে সব মিলিয়ে খেলতে হয় ১৭০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
সাকিবের রেকর্ডের দিনে নতুন এক রেকর্ড গড়েন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলার কীর্তি গড়েন তিনি। সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলার রেকর্ড এতদিন ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই মুশফিক সেই ২২০ ম্যাচ খেলার রেকর্ড স্পর্শ করেন। ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমেই মাশরাফিকে ছাড়িয়ে যান মুশফিক। সেই সঙ্গে ৫৫ বলে ৬৪ রানে, দলের জয়ে ভূমিকাও রাখেন।
এইসব রেকর্ডের দিনে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইওয়াশের লজ্জা দিলো। পাশাপাশি ক্যারিবিয়দের সাথে পরাজয়ের ব্যবধানও কমিয়ে আনলো। দুই দলের ৪১ বারের মোকাবেলায় বাংলাদেশের জয় ১৮টিতে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ২১বার, দুটি ম্যাচ টাই হয়।