২০১৫ সালের পর ২০২১ সাল। দু’বারই বার্সেলোনাকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতল অ্যাথলেটিকো বিলবাও। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে রোববার রাতে স্প্যানিশ জায়েন্ট বার্সেলোনাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সুপার উৎসবে মাতলো বিলবাও ফুটবলাররা। হতাশা মলিন বার্সেলোনার জন্য দু:সংবাদ হয়ে এলো কেরিয়ারে প্রথমবার লালকার্ড পেয়ে লিওনেল মেসির মাঠ ছাড়া।
দু’ বছরের মধ্যে প্রথম শিরোপা জয়ের খুব কাছে পৌঁছেছিল বার্সেলোনা। আক্রমণে আধিপত্য রেখেও হারতে বসেছিল অ্যাথলেটিক বিলবাও। ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত খেলা বিলবাও খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সুপার কাপ জিতে নেয়। খেলার অতিরিক্ত সময়ে উইলিয়ামসের চমৎকার গোলে সুপার উৎসবে মেতে ওঠে মার্সেলিনোর দল। তৃতীয়বারের জন্য সুপার কাপ জিতল দলটি।
রোববার রাতে সেভিয়ার মাঠে অতিরিক্ত সময়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে ৩-২ গোলে জিতে বিলবাও। তবে অঁতোয়ান গ্রিজমানের জোড়া গোলে দু’বার এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। প্রথমবার অস্কার দে মার্কোসের গোলে সমতায় ফেরার পর ৯০ মিনিটে আসিয়েরের গোলে শিরোপা লড়াইয়ে ফেরে বিলবাও। আর অতিরিক্ত সময়ে ইনাকির গোলে জয় নিশ্চিত করে মার্সেলিনোর দল।
ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগেও মেসির খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তা ছিল। প্রথম একাদশে মেসিকে রাখেননি রোনাল্ড কোম্যান। তবে প্রথম দিকেই কোচ তাঁকে নামালেও পুরো ম্যাচ খেলতে পারেননি মেসি। কারণ শেষ মুহূর্তে মেজাজ হারিয়ে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি।
বল দখলের প্রশ্নে সব সময়েই ম্যাচের শুরু থেকে এগিয়ে থাকা বার্সেলোনা এদিন শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলাতে ও নিজেদের খেলা গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত ছিল। লং পাসে তাদের রক্ষণে বারবার ভীতি ছড়াচ্ছিল বিলবাও। ম্যাচের ২৬ মিনিটে গোলের উদ্দেশে প্রথম শট দেখা যায়। ডি-বক্সের মধ্যে থেকে আন্দের কাপার বুলেট গতির শট লাফিয়ে এক হাত বাড়িয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। ১১ মিনিট পর প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে মেসির জোরাল শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে যায়।
তবে ৪০ মিনিটে গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। দুর্দান্ত গোলে বার্সাকে এগিয়ে দেন গ্রিজম্যান। কিন্তু ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বার্সা। দু’ মিনিট পরেই মাকোর্সের গোলে সমতা ফেরায় অ্যাথলেটিকো। ১-১ অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে হেডে বল জালে পাঠান রাউল গার্সিয়া। তবে ভিএআর-এর সাহায্যে অফ-সাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। ৭৭ মিনিটে গ্রিজম্যানের গোলে আবার এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। কিন্তু ৯০ মিনিটে আসিয়র বিলবাওকে সমতায় ফেরান। হারের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়ানো বিলবাও অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে ইনাকির অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায়। সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পেয়ে জায়গা বানিয়ে জোরাল শটে গোল করেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।