স্বাগতিক শ্রীলংকার বিপক্ষে গল টেস্ট জিততে আর মাত্র ৩৬ রান প্রয়োজন সফরকারী ইংল্যান্ডের। হাতে আছে ৭ উইকেট। ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নের সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫৯ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। ফলে জয়ের জন্য ৭৪ রানের টার্গেট পায় সফরকারী ইংলিশরা।
জয়ের জন্য পাওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মহাবিপদেই পড়ে ইংল্যান্ড। ৬ ওভারে ১৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে। তবে চতুর্থ দিন শেষে ঐ ৩ উইকেটেই ৩৮ রান তুলেছে ইংল্যান্ড।
প্রথম ইনিংস থেকে ২৮৬ রানে পিছিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ১৫৬ রান করেছিলো শ্রীলংকা। থিরিমান্নে ৭৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার সাথে ব্যাটে ছিলেন এম্বুলদেনিয়া।
আজ রোববার এম্বুলদেনিয়া কোনো রান করার আগেই ফিরলে, চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও থিরিমান্নে। ১১৬ বলে ৫২ রান যোগ করেন তারা। এই জুটিতেই টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন থিরিমান্নে। ব্যক্তিগত ১১১ রানে ইংল্যান্ড পেসার স্যাম কারানের শিকার হয়ে থামেন থিরিমান্নে। তার ২৫১ বলের ইনিংসে ১২টি চার ছিলো।
টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৬তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া ম্যাথুজ তিন অংকের দিকেই এগোচ্ছিলেন। তবে ম্যাথুজকে ৭১ রানে থামিয়ে দেন বাঁ-হাতি স্পিনার জ্যাক লিচ। তার ২১৯ বলের ইনিংসে ৪টি চার ছিলো। ম্যাথুজের পর শ্রীলংকার আর কোন ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। লিচের স্পিন বিষে ৩৫৯ রানে গুটিয়ে যায় প্রথম ইনিংসে ১৩৫ রান করা শ্রীলংকা। ইংল্যান্ডের লিচ ১২২ রানে ৫টি উইকেট নেন। ১১ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নেন লিচ।
৭৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি-ডম সিবলি ও অধিনায়ক জো রুট। ক্রলি ৮ ও সিবলি ২ রান করে বাঁ-হাতি স্পিনার এম্বুলদেনিয়ার শিকার হন।
প্রথম ইনিংসে ২২৮ রান করা রুট, এবার মাত্র ১ রান করেন। রান আউট হন তিনি। তবে দিন শেষে জনি বেয়ারস্টো ১১ ও ড্যান লরেন্স ৭ রানে অপরাজিত আছেন।