স্প্যানিশ লা লিগার প্রথম এল ক্ল্যাসিকো আজ। ক্লাব পর্যায়ের অন্য কোনো দ্বৈরথ নিয়ে এতটা আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক আর চোখে পড়ে না। এর পরতে পরতে আছে সৌন্দর্য, বিস্ময় আর রোমাঞ্চের হাতছানি। এল ক্লাসিকো মানেই স্প্যানিশ ফুটবলের দুই পাওয়ার হাউজ রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার শৈল্পিক লড়াই। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত রাত আটটায়।
খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। উভয়েই লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরেছে। গত সপ্তাহে রিয়ালকে তাদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্তব্ধ করে দিয়েছিল ক্যাডিজ। দ্বিতীয় বিভাগ থেকে উঠে আসা দলটি 'লা ব্লাঙ্কো'দের বিপক্ষে জিতেছিল ১-০ গোলে। একই ব্যবধানে গেতাফের কাছে হেরে যায় বার্সাও। অথচ দলটির বিপক্ষে ২০১১ সাল থেকে লিগে অপরাজিত ছিল কাতালানরা।
এরপর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরেন্সভারোসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়ালেও রিয়ালকে বার্নাব্যুতে আরেকটি বিব্রতকর হারের তেতো স্বাদ দেয় শাখতার দোনেস্ক। ইউক্রেনের ক্লাবটির মূল একাদশের দশ খেলোয়াড় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে খেলতে পারেনি। তারপরও তারা তুলে নেয় ৩-২ ব্যবধানের অবিস্মরণীয় জয়। এমনকি প্রথমার্ধ শেষেই সফরকারীরা এগিয়ে ছিল তিন গোলে!
লা লিগার পাঁচ ম্যাচে তিন জয়, এক ড্র ও এক হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল আছে তিনে। শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে বার্সা চার ম্যাচে দুই জয়, এক ড্র ও এক হারে ৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে দশম স্থানে।
গত মৌসুমের শেষে বার্সা ছাড়তে আগ্রহ প্রকাশ করা মেসির সেরাটা এখনও দেখা যায়নি এবার। লিগের চার ম্যাচে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড জালের দেখা পেয়েছেন একবার, তা-ও পেনাল্টি থেকে। করেননি কোনো অ্যাসিস্ট। রিয়ালের আক্রমণভাগে চলছে দৈন্যদশা। দলটি পাঁচ ম্যাচে গোল করেছে মাত্র ছয়টি। ফরোয়ার্ডদের কাছ থেকে এসেছে মোটে তিন গোল।
চোট সমস্যা ভোগাচ্ছে দুদলকে। বার্সার জর্দি আলবাকে নিয়ে দোটানা রয়েছে। গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন ও ডিফেন্ডার স্যামুয়েল উমতিতি ছিটকে গেছেন। রিয়ালের অবস্থা বেশি বেগতিক। তারকা ফরোয়ার্ড এদেন হ্যাজার্ড, ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল, মিডফিল্ডার মার্টিন ওডেগার্ডকে পাচ্ছে না তারা। পাশাপাশি কাসেমিরো খেলতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।
এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পরস্পরকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে বার্সা ও রিয়ালের মধ্যে। এর রোমাঞ্চ, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতেও। কিন্তু এবার চিত্র থাকবে ভিন্ন। করোনাভাইরাসের কারণে প্রথমবারের মতো দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এল ক্লাসিকো।