বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে বরাবরই চিন্তার নাম টেলএন্ডাররা। নন স্ট্রাইকে কোনো সেট ব্যাটসম্যান থাকলেও তাদের সাহায্য করার জন্য কোনো টেলএন্ডার খুঁজে পাওয়া যায় না। সেই অপূর্ণতা ঘুচাতে দীর্ঘদিন ধরেই টেল এন্ডারদের ব্যাটিংয়ের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে আজ মঙ্গলবার পুরো দিনটিই টেল এন্ডারদের ব্যাটিংয়ের জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের সেন্টার উইকেটে এদিন ব্যাটিং করেছেন তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলামরা। আর বোলিং প্রান্তে ছিলেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম আর ইমরুল কায়েসরা।
অনুশীলন শেষে তাসকিন জানিয়েছেন, ব্যাটিং খুব উপভোগ করেছেন তারা। তাসকিনের ভাষ্য, ‘আজকে আমাদের সব বোলারদের ব্যাটিং সেশন ছিল। তো এনজয় করেছি। যদিও নেটে আমাদের টাফ টাইম দিচ্ছিল থ্রোয়ার এবং বোলাররা। তো এই চ্যালেঞ্জগুলো নিতে শিখতে হবে।’
দেশের টেল এন্ডার ব্যাটসম্যানদের উন্নতি হচ্ছে বলেও মনেকরেন তিনি, ‘ব্যাটসম্যানদের আমাদের টেলএন্ডাররা সাপোর্ট দিতেই হবে। আমরা চেষ্টা করছি। আরও উন্নতি হচ্ছে। আশাকরছি সামনে আমাদের টেল এন্ডাররা আরও ভালো করবে।’
বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফরের ভাগ্য ঝুলে থাকলেও সিরিজটিকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই দলগত অনুশীলন শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা। ২৭ জনের স্কোয়াডের আইসোলেশনে থাকা ১১ জন বাদে অনুশীলন করছেন ১৬ জন ক্রিকেটার।
মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটে মোস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেন ও রুবেল হোসেনের সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করছেন পেসার তাসকিন আহমেদও। প্রতিনিয়তই উন্নতির চেষ্টায় আছেন তিনি।
অনুশীলন শেষে তাসকিন আরো বলেন, ‘আগে থেকে ভালো ছন্দ খুঁজে পেয়েছি। ভালোও লাগছে। পেস, সিম পজিশন এসব নিয়ে কাজ করছি কোচদের সাথে। আগের থেকে উন্নতি হয়েছে। আল্লাহ যদি সুস্থ রাখে তাহলে আগে চেয়ে অ্যাকুরেসি, পেস, সিম পজিশন এগুলো আরও ভালো হবে আশা করছি।’
শুধু পেস বোলিং নয়, ফিটনেসের দিকেও বাড়তি নজর রাখছেন তাসকিন। অনুশীলনে নিজের আগুন ঝরানো বোলিং পূর্ণতা পেয়েছে ফিটনেসের কারণেই।
তাসকিন আরও বলেন, ‘ফিটনেস আগের থেকে ভালো হয়েছে। তবে উন্নতির কোনও শেষ নেই। ওয়ার্ল্ড ক্লাস হতে হলে, আরও ধারাবাহিক হতে হলে আরও কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে।
এখনই শেষ নয়, সামনে আরও ভালো কিছু হবে আশা করছি। আমি আমার ধারাবাহিকতা রাখার চেষ্টা করব। সামনে যেন আরও উন্নতি হয় সেই চেষ্টাই করব।’
তিন ফরম্যাটে খেলার লক্ষ্য নিয়ে নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করেছেন তাসকিন। এক সময়ে জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য হলেও, অফ ফর্ম এবং চোটের কারণে জায়গা হারাতে হয় এই পেসারকে।
বিপিএলের পঞ্চম আসর দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ে জয়ের খুব কাছে গিয়েও ইনজুরির কাছে হেরে যেতে হয় তাসকিনকে। সেবার সিলেট সিক্সার্সের হয়ে ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট নিলেও টুর্নামেন্টের শেষের দিকে ইনজুরিতে পড়েন তিনি। ছিটকে যান নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে এবং টেস্ট দল থেকে।