ভিয়ারিয়ালকে ৪-০ গোলে পরাজিত করে স্প্যানিশ লা লিগায় শিরোপা পুনরুদ্ধার অভিযান শুরু করলো বার্সেলোনা। আর ঘরের মাঠের এই জয় দিয়ে ন্যু ক্যাম্পে শুরু হলো রোনাল্ড কুম্যান অধ্যায়। চারটি গোলই হয় প্রথমার্ধে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৮-২ গোলের হার দিয়ে গত মৌসুম শেষ করা বার্সেলোনা ২০২০-২১ মৌসুমের শুরুতে ছিল সাবধানী। ৪-২-৩-১ ফরমেশনে নিজেদের যেন পরীক্ষা করে নিচ্ছিল। বিপরীতে স্বাগতিকদের জায়গা না দেওয়ার পণ করে নেমেছিল ভিয়ারিয়াল।
তবে তাদের রক্ষণ ভাঙার সৃজনশীলতা ছিল মেসি-ফাতিদের খেলায়। পঞ্চদশ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। মাঝমাঠ থেকে বল পাওয়া জর্দি আলবার কাটব্যাকে চমৎকার ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন ফাতি। চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফাতি। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে দারুণ গতিতে এগিয়ে যান মেসি। বাঁদিকে অরক্ষিত তরুণ ফরোয়ার্ডকে খুঁজে নেন বার্সেলোনা অধিনায়ক। ঠাণ্ডা মাথায় বাকিটা সারেন তরুণ ফরোয়ার্ড, কাছের পোস্ট ঘেঁষে বল পাঠান জালে।
৩৫ মিনিটে স্পট কিকে ব্যবধান ৩-০ করেন মেসি। বলে হাত ছোঁয়াতে পেরেছিলেন আসেনহো, কিন্তু জালে যাওয়া ঠেকাতে পারেননি। ফাতিকে ভিয়ারিয়াল অধিনায়ক মারিও ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সেলোনা।
বিরতির ঠিক আগে সৌভাগ্যের গোলে ব্যবধান আরও বাড়ায় বার্সেলোনা। ফাতির কাছ থেকে বল পেয়ে এগিয়ে যান মেসি। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে থাকা বুসকেটসকে বল পাঠান মেসি। সেই ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন পাউ টোরেস।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল সংখ্যা বাড়ানোর তেমন কোনো চেষ্টাই করেনি কাতালানরা। তবে এ সময় ভিয়ারিয়াল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেও ব্যবধান কমাতে পারেনি।
দিনের অন্য ম্যাচে গ্রানাডাকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। আর ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন সেভিয়া ৩-১ গোলে হারিয়েছে ক্যাডিজকে।