মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পাহাড়সমান ১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ল কোলকাতা নাইট রাইডার্স। এর আগের ম্যাচেই রাজস্থান রয়্যালসের ২১৭ রান তাড়া করে অন্তত দারুণ একটা লড়াই দিয়েছিল চেন্নাই। ডুপ্লেসিসের ৭২রানে ভর করে। বুধবার রাতে অবশ্য কেকেআরের হয়ে সেই ভূমিকায় কাউকে দেখা গেলো না। তাই পরাজয়ই সঙ্গী।
৯ উইকেটে ১৪৬ রানের পুজি পায় কোলকাতা নাইটরাইডার্স। আর তাতে আইপিএলে ৭ বছর পর ফ্যানেদের হতাশা উপহার দিয়ে যাত্রা শুরু হলো কেকেআরের। মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে ৪৯ রানের বড় হারে শুরু। তিন নম্বের নেমে দীনেশ হোক বা মিডল অর্ডারে মর্গ্যান-রাসেল, মুম্বাইয়ের ক্ষুরধার বোলিংয়ের সামনে নাইটদের সব ব্যাটসম্যানই পরাস্ত।
তারকা বিদেশিদের দলে নিয়ে কেকেআর যতই গর্ব করুক না কেন,দিনের শেষে হার দিয়ে ১৩ তম আইপিএলে অভিযান শুরু হলো তাদের। ২০১৩ সালের পর এবারই প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে আইপিএল শুরু হলো কেকেআরের। টি-২০ ক্রিকেটে অঙ্ক কষে রান তাড়া করতে ১৯৬ রান হাঁকানো অসম্ভব নয়। সেখানেই বড় হিট না হাঁকিয়ে শুরু থেকে পিছিয়ে পড়ে কেকেআর।
ইনিংসের শেষ দিকে প্যাট কামিন্স ৩৩ রান তুলতে ৪টি ছক্কা হাকালেও বাকি সবাই মিলে ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। উল্টো এদিন রোহিত একাই ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে মর্গ্যান-কামিন্স, বড় নামি ক্রিকেটার এনে তাঁরা ব্যাটে-বলে ফল না দিতে পারলে আগামী দিনে নাইটদের আরও সমস্যা অপেক্ষা করছে। কেকেআরের হয়ে কামিন্স সর্বোচ্চ ৩৩ ও দীনশ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন। মর্গ্যান ১৬, রানা ২৪ ও রাসেল ১১ রান করেন। ১৬ তম ওভারে ম্যাচ ঘোরানো পারফর্ম্যান্স জসপ্রীত বুমরাহের। ওভারে দ্বিতীয় বলে রাসেলকে বোল্ড ও চতুর্থ বলে স্লোয়ারে মর্গ্যানকে উইকেটকিপারের তালুবন্দি করান বুমরাহ। ৪ ওভারে ৩২ রান খরচায় বুমরাহ ২টি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ব্যাটিং মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আইপিএল ২০২০ এ অভিযান শুরুর ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে বড় রান পাননি হিটম্যান। সিএসকের বিরুদ্ধে মাত্র ১২ রানে আউট হয়েছিলেন। এদিন অবশ্য নাইট বোলারদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইনিংস খেলে ৩৯ বলে ফিফটি করেন।
আইপিএলে এটি রোহিত শর্মার ৩৭ তম হাফ সেঞ্চুরি। ২০১৯ সালে মুম্বাইকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করলেও রোহিতের ব্যাটে মাত্র ২টি ফিফটি ছিল। এবছর ১৩ তম আইপিএলের শুরুতে দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম হাফ সেঞ্চুরিটি হাঁকিয়ে ফেললেন হিটম্যান। উল্লেখ্য রোহিতের আইপিএলে কেরিয়ারের সর্বোচ্চ ১০৯ রানের ইনিংস নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধেই এসেছিল। ২০১২ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডন্সে নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ঐ ম্যাচ মুম্বাই ২৭ রানে ম্যাচ জিতেছিল। এবারের ম্যাচে মুম্বাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন রোহিত শর্মা ৫৪ বলে। আর ৪৭ রান করেন এস. যাদব। কোলকাতার বোলারদের মধ্যে মাভি ৩২ রানে ২টি উইকেট তুলে নেন।