২০০৫ সালে সবশেষ বক্সিং রিংয়ে নেমেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মাইক টাইসন। ১৫ বছর হয়ে গেল টাইসনের দুর্দান্ত প্রতাপ রিংয়ে দেখতে পারছেন না সমর্থকরা। অবশেষে আগের রুপে রিংয়ে দেখা যাবে টাইসনকে। বহু প্রতীক্ষিত সেই প্রত্যাবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ইতিহাসের অন্যতম সেরা আরেক বক্সার রয় জোন্স জুনিয়রের সাথে প্রীতি লড়াইয়ে নামবেন ৫৪ বছর বয়সী টাইসন।
আট রাউন্ডের এই লড়াইয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার ডিগনিটি হেলথ স্পোর্টস পার্কে লড়বেন টাইসন ও জোন্স। পয়সা দিয়ে দেখা যাবে ট্রিলার নামে মার্কিন মিউজিক অ্যাপে। এই ট্রিলারকে ধরা হচ্ছে আমেরিকায় টিক-টকের প্রধান প্রতিপক্ষ এবং বিকল্প।
জোন্সের সাথে লড়াইকে সামনে রেখে নিয়মিত অনুশীলন করছেন টাইসন। অনুশীলনের ভিডিও পোস্ট করে টাইসন লিখেছেন, ‘আই অ্যাম ব্যাক।’ খেলোয়াড়ি জীবনে সবচেয়ে কম বয়স, মাত্র ২০ বছর ৪ মাস বয়সে বক্সার হিসেবে ১৯৮৬-তে হেভিওয়েট শিরোপা জিতেছিলেন টাইসন। ২০০৫-এ অবসর নেওয়ার সময়ে তাঁর নামের পাশে ছিল ৫০টি জয়, ৬টি হার এবং ৪৪টি নকআউট করার বিরল কৃতিত্ব।
১৯৯৭ সালে ইভান্ডার হলিফিল্ডের কানে কামড় দিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয়েছিলেন টাইসন। ফলে ‘ব্যাডেস্ট ম্যান অন দ্য প্ল্যানেট’ খেতাব পান তিনি।
প্রীতি ম্যাচে টাইসনের প্রতিদ্বন্দ্বী জোন্সের বয়স এখন ৫১ বছর। ১৯৮৮ অলিম্পিকে আমেরিকার হয়ে বক্সিংয়ে বিতর্কিত রৌপ্য জিতেছিলেন তিনি।