দীর্ঘ দু’মাস বিরতির পরে আবার ফিরেছে বুন্দেশলিগা। কিন্তু করোনাভাইরাস আতঙ্ক কাটিয়ে উঠা যায়নি। গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া জার্মান লিগের ম্যাচগুলির পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ফুটবলারদের মধ্যে আগের মতো আক্রমণাত্মক ফুটবলের বদলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে খেলার প্রবণতা বেড়েছে।
গত সপ্তাহে বুন্দেশলিগার ম্যাচগুলির যে সার্বিক পরিসংখ্যান উঠে এসেছে তাতে দেখা গেছে, আগের চেয়ে ট্যাকল, ড্রিবলের মাত্রা অনেক কমেছে। ইঙ্গিত দিচ্ছে, ফুটবল ফিরলেও অস্বস্তি পুরো যায়নি ফুটবলারদের। যেমন মার্চ মাসে লকডাউনের আগে জার্মান লিগে প্রতি ম্যাচে ট্যাকল হত ৩৩.৫ শতাংশ, তা এখন দাঁড়িয়েছে ৩০.৫। আগে প্রত্যেক ম্যাচে ড্রিবল হত ৩৮.৫ শতাংশ। এখন সেটা নেমে দাঁড়িয়েছে ২৯-এ। আগের চেয়ে খেলার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক কমে গেছে। এবং তার কারণ করোনা-আবহে ফুটবল শুরু হওয়ায় ফুটবলারদের মনে সংক্রমণ সংক্রান্ত আতঙ্ক রয়েই গেছে।
যদিও এই পরিসংখ্যান নিয়ে খুব একটা চিন্তিত হচ্ছেন না বায়ার্ন মিউনিখের ম্যানেজার হানস দিয়েতার ফ্লিক। ক্লাবের ওয়েবসাইটে তিনি জানন, ‘মনে রাখতে হবে, গত দুই মাস ফুটবলারদের সঙ্গে কোনও যোগ ছিল না বলের। আর মাঠে অনুশীলন এবং বাড়িতে অনুশীলনের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। ফলে সময়ের সঙ্গে মন্থরতা কেটে যেতে বাধ্য।’ বরং ফ্লিক মনে করেন, ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। পরিসংখ্যানও তার সাক্ষ্য দিচ্ছে। গত সপ্তাহে বুন্দেশলিগার ম্যাচে ৯০ মিনিটে একটি দল দৌড়েছে ১৪৩.৪ মাইল। লকডাউনের আগে যা ছিল ১৪৪.৪ মাইল। অর্থাৎ দু’মাস পরে ফুটবল শুরু হওয়ার পর সেই ব্যবধান দাঁড়িয়েছে মাত্র ১.১ মাইলের।
প্রতি ম্যাচে স্প্রিন্টের হিসাব দাঁড়িয়েছে ৪৩৬.২, লকডাউনের আগে যা ছিল ৪৪০.৬। বরং দুই মাস পরে ফুটবল শুরু হওয়ার পরে শূন্যে বল দখলের লড়াইয়ের মাত্রা অনেকটা বেড়েছে। গত সপ্তাহের ম্যাচের পরে সেটা দাঁড়িয়েছে ৭১ শতাংশ, আগে যা ছিল ৬৮.৩ শতাংশ। যদিও ম্যাচ প্রতি গোলের পরিমাণ বেশ কিছুটা কমেছে (২.৭৫ শতাংশ)। লকডাউনের আগে যা ছিল ৩.২৫। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ম্যানেজার লুসিয়েন ফাভ্রে বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন পরে মাঠে নামার পরে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনতে কিছুটা সময় লাগবে। সকলেই এখন নিজেদের সুরক্ষিত রেখে ফুটবল খেলছে।’