করোনাভাইরাসের আক্রমণে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত পৃথিবী। থেমে গিয়েছে ক্রীড়াঙ্গন। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী মনে করেন, একবার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। একটি অ্যাপের ক্লাসে সৌরভ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের আক্রমণে বিশাল ধাক্কা খেয়েছে সবাই। কিন্তু আমার মনে হয়, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের কাছে ওষুধ ছিল না এই ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য। কিন্তু ছ’-সাত মাসের মধ্যে একবার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে গেলে, সবকিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ক্রিকেট সূচি নিয়ে তীব্র জট সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় সৌরভ বলন, ‘আমাদের সবার মধ্যে একটা প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। ক্রিকেটও আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। হ্যাঁ, মানছি সূচিতে কিছু পরিবর্তন হবে। তবে এটাও বলবো, ক্রিকেটকে স্বাভাবিক করতে ভারতীয় বোর্ড এবং আইসিসি যা করার করবে।’ সৌরভ মনে করেন, একবার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে গেলে কোভিড-১৯ রোগও জন্ডিস বা ফ্লুয়ের মতো হয়ে দাঁডাবে। যা সারানো যায়। সাবেক ভারত অধিনায়কের মন্তব্য, ‘ক্রিকেট খুব শক্তিশালী হয়েই ফিরবে। মানছি, ক্রিকেটারদের নানা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। যা খেলার সামনে কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না।’
সৌরভ জানান, নিছকই দুর্ঘটনাবশত তিনি ক্রিকেটার হয়ে যান। তার কথায়, ‘ফুটবল আমার জীবন ছিল। ক্লাস নাইন পর্যন্ত আমি খুব ভাোল ফুটবল খেলতাম। একবার গরমের ছুটিতে বাবা (চণ্ডী গঙ্গোপাধ্যায়) বলেন, ‘বাড়িতে বসে কিছুই তো করছিস না, একটু অনুশীলন কর। এই বলে বাবা আমাকে একটা ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দেন।’ সৌরভ জানিয়েছেন, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ইডেনে ওড়িশার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির পরে তাঁর সত্যিকারের ক্রিকেট জীবন শুরু হয়। ‘পাঁচ-ছ’জন ক্রিকেটার অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তখন আমাদের অ্যাকাডেমির কাছে সাহায্য চাওয়া হয়। সৌভাগ্যবশত, সুযোগ পাই। তারপরে কোথা থেকে সেঞ্চুরি করে বসি।’
দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বাঁ-হাতি ছিলেন। তাঁর গ্লাভস পরে খেলতে হবে বলে বাঁ-হাতে ব্যাটিং শুরু করেন সৌরভও।