১০৪ রানের বড় ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেয়া ২৬২ রানের টার্গেটে নেমে ১৫৭ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। শেষ চারে বাংলাদেশের যুবাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশ যুব দলের এই জয়ের কৃতিত্ব বামহাতি স্পিনার রাকিবুলের। এই আসরের প্রথম হ্যাটট্রিকও করেছিলেন তিনি। সেই রাকিবুলের স্পিনেই দিশেহারা হয় প্রোটিয়ারা। অবশ্য ওপেনিং জুটিতে শুরুর আঘাতটা ছিল পেসার তানজিম হাসান সাকিবের। ১৫ রানে ব্যাট করতে থাকা খানইয়া কোটানিকে ফেরান তিনি।
এরপর জোনাথন বার্ডকে ফিরিয়ে আঘাত হানা শুরু রাকিবুলের। এক ওভার বিরতি দিয়ে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন অধিনায়ক ব্রাইস পারসনসকে। মাঝে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন কারেলসি, শরিফুলের বলে জ্যাক লিস। এর পর আবার রাকিবুলের ঘূর্ণি জাদু। লেজের দিকটা ছেঁটে দিয়েছেন। বিদায় দিয়েছেন মোলেস্টেন, ফন ভাউরেন ও সর্বোচ্চ স্কোরার লুক বিউফোর্টকে (৬০)। শেষ ব্যাটসম্যান রান আউট হলে ৪২.৩ ওভারে ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা রাকিবুল। ৪১ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। একটি করে নিয়েছেন শরিফুল ও শামীম।
এরআগে পচেফস্ট্রুমে টস হেরে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২৬১ রান করে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেন ওপেনার তানজিদ হাসান। ওপেনিং জুটিতে উপহার দেন ৬০ রান। ১৩ ওভারে সঙ্গী পারভেজ হোসেন ইমন ১৭ রান করে ফিরলেও অপরপ্রান্ত আগলে খেলেন দীর্ঘক্ষণ।
দ্রুত মাহমুদুল হোসেন জয় ৩ রানে বিদায় নিলে জুটি গড়েছেন তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে। তানজিদ ৮০ রান করে বিদায় নেন। এরপরে শাহাদাতের সঙ্গী হন হৃদয়। ৫১ রানে হৃদয় ফিরলে শেষ দিকে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ হয়েছে মূলত শাহাদাত হোসেনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়েই। শেষ ৫ ওভারে প্রোটিয়াদের ওপর চড়াও হয়ে ৪৯ রান তুলতে ভূমিকা ছিল তার। ৭৬ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ১ ছয়ের মার। অধিনায়ক আকবর আলী তার সঙ্গে ১১ বলে ১ চারের সহায়তায় ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
প্রোটিয়াদের হয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন ফেকো মোলেস্টেন।