প্রায় দুই দশক পর আবারও শুরু হচ্ছে জাতীয় স্কুল ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা। তবে মৃত:প্রায় এ আসরটি শুরুর জন্য ফেডারেশন নয়, উদ্যেগে নিয়েছে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ।
জাতীয় এ সংগঠনটির আহ্বানে দেশের প্রায় ৬০টি স্কুলের প্রায় দুই শতাধিক শাটলারদের অংশ নিচ্ছে। আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে উডেন ফোর জিমনেশিয়ামে শুরু হতে যাওয়া এবারের আসরের উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বালক একক, বালক দ্বৈত, বালিকা একক ও বালিকা দ্বৈত ইভেন্টে শিরোপার জন্য লড়াই করবেন ক্ষুদে শাটলাররা। আসন্ন এ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে আজ রোববার ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন টুর্নামেন্ট কমিটির সচিব ওয়াহিদুজ্জামান রাজু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সিইও মশিউর রহমান, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান শাপলা আক্তার, সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন গুনগুন রহমান দোলা, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান লিডসাসের সিইও সাদিক।
টুর্নামেন্ট কমিটির সচিব রাজু বলেন, ‘তিন দিনের এই আসরে ঢাকার বাইরের অনেকগুলো স্কুল এন্ট্রি করেছে। যতোটুকু আশা করেছিলাম, তারচেয়ে বেশী সাড়া পেয়েছি। ফেডারেশন থেকে আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিচ্ছে। এছাড়াও কয়েকটি স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা চলছে। আশাকরি পেয়ে যাবো। স্পন্সর না পেলেও আমরা আমাদের এ টুর্নামেন্ট শেষ করবো। কারণ আমাদের লক্ষ্য এ আসর থেকে প্রতিভাবান শাটলার খুঁজে বের করা। আমাদের নিজস্ব কোচদের মাধ্যমে এখান থেকে ২০জন ক্ষুদে শাটলারকে বাছাই করবো। বাছাইকৃতদের নিয়ে স্কুল বন্ধকালীন সময়ে বছরে তিনমাস ক্যাম্প করবো। এখান থেকে যদি একজন শাটলারও বের করে আনতে পারি, তাহলে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ হবে।’
ফেডারেশনের সিইও মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদকে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিচ্ছি। আর আর্থিকভাবে কোন সহযোগিতা করা যায় কি না- সেটা নিয়ে আলোচনা করবো।’ নারী এককের চ্যাম্পিয়ন শাপলা আক্তার বলেন, ‘স্কুল টুর্নামেন্ট হচ্ছে প্রতিভাবানা শাটলার তুলে আনার অন্যতম একটা মাধ্যম। নানা কারনেই এটা বন্ধ প্রায় দুই দশক ধরে। আমি নিজেও স্কুল টুর্নামেন্ট থেকে উঠে আসা। আশাকরি শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ প্রতি বছর এ আয়োজন করবে।’