ভারতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার কোনেরু হাম্পি নারী র্যাপিড দাবা বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছেন। মস্কোতে তিনি শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে চীনের লেই তিংগজি’র সাথে ড্র করেন। ৩২ বছর বয়সী এই ভারতীয় তারকা দ্বাদশ ও শেষ রাউন্ডে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান। চীনের তাং ঝোনঝিকে পরাজিত করেন এবং তিংগজি’কে টাইব্রেকার খেলতে বাধ্য করেন।
জয়ের পর হাম্পি বলেন, প্রথম গেম শুরু করার সময়ও এতোটা ভাবতে পারিনি। ধারণা ছিলো শীর্ষ তিনে থাকবো। টাইব্রেকার খেলবো এটাও ভাবিনি কখনো। অবশ্য সন্তান জন্মদান উপল্েয ২০১৬ থেকে ২০১৮ এই দুই বছর দাবা খেলার বাইরে ছিলেন হাম্পি।
প্রথম ম্যাচে হারার পর দ্বিতীয়টিতে জয়ের ধারায় ফিরি। সেই গেমটা ছিলো একরকমের জুয়া। পরে অবশ্য আমি জিতে যাই। আর চূড়ান্ত ম্যাচটি ছিলো আশানুরূপ। খুব সহজেই জয় পাই।
১৩ ম্যাচে নয় পয়েন্ট পান হাম্পি। সমান পয়েন্ট ছিলো চীনের লী তিংজিই এবং তুরস্কের একতারিনা অ্যাটলিকেরও। দুই বছর স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকলেও বলাই বাহুল, এবারের র্যাপিড বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ সূচনা করেন। প্রথম পাঁচ রাউন্ডে তিনি সাড়ে চার পয়েন্ট অর্জন করেন। পরের রাউন্ডেই রাশিয়ার ইরিনা বালমাগার কাছে পরাজিত হন। শিরোপা জয়ের পথে টানা দুই জয় পান তিনি।
সে যাই হোক, ভারতীয় এই তারকাকে শুধু ভালো খেলাই নয়, প্রয়োজন ছিলো ভাগ্যেরও। কারণ তিংগজিকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইটাই জমিয়ে তোলেন অ্যাটলিক। তবে শিরোপা নাটকের শেষ সেখানেই নয়। প্রথম টাইব্রেকে হাম্পি তিংগজিয়ের কাছে হেরে যান, দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরে আরমাগেডন রাউন্ডে উঠে যান।
এই পর্বে কালো ঘুটি নিয়ে ড্র করেন হাম্পি। এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে পরের গেমটি ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। তিংজিইয়ের সাথে ড্র করেই শিরোপা জিতলেন কনেরু হাম্পি। আর ব্রৌঞ্জ জয় করেন অ্যাটলিক। ২০১৭ সালে বিশ্বনাথন আনন্দের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে দাবার এই ফরমেটে চ্যাম্পিয়ন হলেন কনেরু হাম্পি। তাছাড়া ২০০৭ সালে জুডিথ পোলগারের পর হাম্পি দ্বিতীয় নারী খেলোয়াড় হিসেবে ২৬০০’র বেশি রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেন।