নারীদের পর এবার বাংলাদেশকে পুরুষ ক্রিকেট দলও যাবে পাকিস্তান সফরে। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম আনুযায়ী (এফটিপি) আগামী বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজটি পাকিস্তানের হোম সিরিজ।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান নিজেদের হোম সিরিজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন করে আসছে। কিন্তু গত কয়েক বছর পাকিস্তান নিজেদের মাটিতে সিরিজ আয়োজন করছে। সেই সূত্রে এবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলকে নিজেদের মাটিতে আতিথেয়তা দিচ্ছে পাকিস্তান।
ধারণা হচ্ছিল, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবার বাংলাদেশকে পাকিস্তানে সফরে আমন্ত্রণে জানাবে। সেই ধারণা সত্য হলো। পিসিবি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে আতিথেয়তা দিতে চাইছে। এজন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাঠিয়েছে পিসিবি। সেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা বিসিবি নিজেরা দেখছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাই কমিশন এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে বিসিবি। তাদের গ্রীন সিগন্যালের ওপর নির্ভর করবে সাকিব, তামিম, মুশফিকদের পাকিস্তান সফর।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন,‘আমাদের দলগুলোর বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নিরাপত্তা ছাড়পত্র। আমরা বিষয়টা নিয়ে কাজ করছি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর হাই কমিশনের সাথে। তাদের রিপোর্টের উপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করবে বলেও জানা যায়। ‘সে রকমই পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই একটা নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল সেই দেশ সফর করবে।’
সাকিবদের নিরাপত্তা নিয়ে বিসিবি যতটা তৎপর নারীদের সফর নিয়ে তেমনটা চোখে পড়ে। নারীরা এর আগে ২০১৫ সালে সফলভাবে পাকিস্তান সফর করেছিল বলেই বিসিবি তাদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেকটা নির্ভার। যদিও বিসিবি নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রুমানারা পাকিস্তান সফরে গেলেও নিয়মিত কোচিং স্টাফরা এ সফর থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি ওয়ানডে খেলতে আগামী ২৩ অক্টোবর পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।