বছরের শেষ গ্র্যান্ডস্লাম ইউএস ওপেনে বিভিন্ন দেশের চারজন ‘মা খেলোয়াড়’ প্রধান ড্র’তে ছিলেন। তারা হলেন- সেরেনা উইলিয়ামস, ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা, তাতানা মারিয়া এবং ম্যান্ডি মিনেল্লা। আর তারা প্রত্যেকেই নিজেদের আকর্ষনীয় খেলা দিয়ে দর্শক-সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছেন। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে সেরেনা উইলিয়ামস একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে দেখা যায়, খেলা চলাকালে সেরেনা তার মেয়ে অলিম্পিয়ার সাথে দুষ্টুমি করছেন। ছয়বারের ইউএস ওপেন শিরোপা জয়ী সেরেনার মেয়ে অলিম্পিয়া পয়লা সেপ্টেম্বর দুই বছরে পা দেবে। আর সেই ছবির নিচে সেরেনা লিখেছিলেন ‘আমি অলিম্পিয়ার মা।’ এবারের ইউএস ওপেনে অংশ নেওয়া সেইসব মায়েদের কথা জানাচ্ছি এবার।
সেরেনা উইলিয়ামস: অলিম্পিয়ার জন্মের পর সেরেনা যখন টেনিসে ফিরলেন, র্যাকিং তখন তার অকল্পনীয়। তিনি এই র্যাংকিং পদ্ধতি পরিবর্তনের পক্ষেও ছিলেন। নারী টেনিসের শীর্ষস্থান থেকে তার র্যাংকিং চলে যায় ৪৫৩-তে। রীতিমতো অকল্পনীয় ব্যাপার। এই র্যাংকিং নিয়েই সেরেনাকে ২০১৮ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনে অংশ নিতে হয়েছিল। পরে ইউএসটিএ জানাতে বাধ্য হয় যে সন্তান প্রসবের পর ফিরে আসা খেলোয়াড়দের র্যাংকিংয়ে কোনো পরিবর্তন হবে না। ইউএসটিএ-র তখনকার প্রেসিডেন্ট ক্যাটরিনা এডামস জানান, ‘সন্তান প্রসবের পর খেলায় ফেরা মায়েদের র্যাংকিংয়ে পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্তটি ঠিকই আছে।’ কিন্তু এবার- এই ২০১৯ সালে ইউএস ওপেনে ৮ নম্বর বাছাই হিসেবে অংশ নিচ্ছেন সেরেনা উইলিয়ামস। তিনি উঠে গেছেন টুর্নামেন্টের চতুর্থ রাউন্ডেও।
ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা: সেরেনার মতো ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কাও তার দুই বছরের ছেলে লিও’র ছবি দিয়ে তাতে লেখেন- ‘আমি আমার সন্তান লিওকে ভালোবাসি।’ নারী টেনিসের সাবেক এই এক নম্বর খেলোয়াড়ও প্রসূতি মায়েদের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। এবং এখনও আছেন। তিনি জানান, র্যাংকিং হারানোটা প্রসূতি মায়েদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। আমি এখনও তাই মনেকরি।
তাতানা মারিয়া: ২০১৭ সালে, কন্যা শার্লট’র বয়স যখন মাত্র চার তখন থেকেই তিনি টুর্নামেন্টে আবারও অংশ নেওয়া শুরু করেন। অন্যান্য নারী প্রতিপক্ষের মতো এগিয়ে চলে তার জয়রথ। কিন্তু কন্যা সন্তান ছোটো বলে তিনি কখনো কোনো টুর্নামেন্ট মিস করেন নি। স্বামী-সন্তান এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে মারিয়া ভ্রমণ করেন। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড থেকে শুরু করে বোগোটা, কলম্বিয়া, রাবাত, মরক্কো, তাসখন্দ, উজবেকিস্তান, প্রোটিয়া এবং ফ্রান্স পর্যন্ত তাদের যাতায়াত- শুধুমাত্র এই টেনিসের জন্যই। ৩১ বছর বয়সী এই জার্মান নারী তারকা চলতি ইউএস ওপেনে অংশ নিতে এসেই পরিবারের সবার ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন- আমার দলকে ভালোবাসি।
ম্যান্ডি মিনেল্লা: লুক্সেমবার্গের ৩৩ বছর বয়সী এই তারকাও সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে হারিয়েছেন তার র্যাংকিং পয়েন্ট। বর্তমানে তার র্যাংকিং ১৪২। তিনিও পরিবার নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে টুর্নামেন্টে ঘুরে বেড়ান। তার স্বামীই কোচের ভূমিকায় থাকেন। আর সঙ্গে থাকে দুই বছর বয়সী কন্যা এমা লিনা।