উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হতে পারলেন না লিওনেল মেসি কিংবা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। লিওনেল মেসি বা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর কেউ নয়, দুই মহাতারকাকে পিছনে ফেলে উয়েফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতলেন লিভারপুলের ২৮ বছর বয়সি সেন্টার-ব্যাক ভার্জিল ভ্যান ডাইক। বৃহস্পতিবার রাতে মোনাকোয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র অনুষ্ঠানে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ভার্জিল ভ্যান ডাইকের নাম ঘোষণা করা হয়। এদিকে, মেয়েদের বিভাগে সেরা হয়েছেন ইংল্যান্ড ও লিওয়ের ফুলব্যাক লুসি ব্রোঞ্জ।
কোচ আর সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তারা। ভার্জিল ভ্যান ডাইক পেয়েছেন ৩০৫ পয়েন্ট। লিওনেল মেসি পান ২০৭ পয়েন্ট। আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পেয়েছেন ৭৪ পয়েন্ট। সাদিও মানে ৫১ এবং মোহাম্মদ সালাহ পান ৪৯ পয়েন্ট।
গতবারই উয়েফার বর্ষসেরার পুরস্কার জিতে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আধিপত্যে ছেদে টেনেছিলেন লুকা মড্রিচ। সেই ধারা বজায় থাকলো এবারও। মেসি, রোনালদোকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার পুরস্কার জিতলেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক।
লিভারপুলের এই ডিফেন্ডার গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। প্রিমিয়ার লিগে রানার্স আপ হয়েছে তার দল। ডাচ এই ডিফেন্ডার গত মৌসুমে ক্লাব ও দেশের হয়ে খেলেছেন ৫৯ ম্যাচে। ৯টি গোল করার সঙ্গে অন্যকে দিয়ে করিয়েছন আরও ৪টি গোল। বলতে গেলে লিভারপুলের রক্ষণভাগ নিশ্চিদ্র রেখেছেন তিনিই।
বর্সসেরা হতে না পারলেও সেরা স্ট্রাইকার নির্বাচিত হয়েছেন লিওনেল মেসি। তিনি রোনালদো ও সাদিও মানেকে হারিয়েছেন সেরার দৌড়ে। সেরা মিডফিল্ডার হন আয়াক্সের ফ্রাঙ্কি ডি জং। ভার্জিল ভ্যান ডাইক সেরা ডিফেন্ডারও নির্বাচিত হন। সেরা গোলকিপার হয়েছেন লিভারপুলের অ্যালিসন।
এদিকে, উয়েফার নারী বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন লিওয়ের লুসি ব্রোঞ্জ। তিনি হারান সতীর্থ আডা হেগেরবার্গ ও আমান্ডিনি হ্যানরিকে। বলাই বাহুল্য যে, লুসিই হলেন প্রথম ইংলিশ খেলোয়াড় যিনি এই পুরস্কার জিতলেন।