বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে খেলা ৩২ থেকে দলের সংখ্যা বাড়ানো হবে ৪৮-এ। এতে আয়োজকদের জন্য চাপ বাড়বে বটে। তবে ফুটবলের প্রসার হবে হু হু করে। একে একে বিশ্বের প্রতিটা কোনায় গড়িয়ে যাবে ফুটবল। ঠিক এমন আশা থেকেই ফিফা ভাবনা-চিন্তা করতে শুরু করেছিল। তা হলে কি কাতার বিশ্বকাপ থেকে ৪৮ দল খেলবে! ৩২ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ হলে লাভ হবে? নাকি আয়োজকদের জন্য কেবলই চাপ বাড়বে? ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো কিন্তু ইঙ্গিত দিলেন, তাঁরা ৪৮ দলের বিশ্বকাপ নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করতে শুরু করেছেন। আর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকেই বিশ্বকাপে ৪৮ দল দেখা যেতে পারে।
ইনফান্তিনো এখন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কুয়ালালামপুর আছেন। সেই অনুষ্ঠানে তিনি নিজের ভাবনা-চিন্তার কথা জানিয়েছেন। ইনফান্তিনো ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতে এশিয়ার দেশগুলোর সংখ্যা বাড়তে পারে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের দল ৩২ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ করা নিয়ে আমরা অনেক আগে থেকেই চিন্তা ভাবনা করছিলাম। ২০২৬ বিশ্বকাপে আমাদের এই চেষ্টা বাস্তবে সফল হতে পারে। এক্ষেত্রে বিশ্বকাপে যদি অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়ে তা হলে এশিয়ার সম্ভাবনাও ৪.৫ থেকে বেড়ে ৮.৫ শতাংশ হবে।’
একসঙ্গে ১৬টি দেশ এককালীন যোগ হলে আয়োজকদের উপর চাপ তো বাড়বেই। সঙ্গে নতুন করে অনেক কিছুই ভাবতে হবে ফিফাকে। নতুন অংশগ্রহণকারী দলের ফুটবলারদের থাকা, তাদের অনুশীলনের জন্য বরাদ্দ মাঠ, যাতায়াত ব্যবস্থাসহ অনেক কিছু নিয়েই ফিফাকে নতুন করে ভাবতে হবে। ফেডারেশন তথা স্থানীয় প্রশাসনকে আরও বেশি কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে। তবে কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়ানো এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। কারণ নতুন করে সব কিছু আয়োজন করার মতো পর্যাপ্ত সময় কাতারের হাতে নেই। অবশ্য ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজক সংস্থার প্রধান-কর্তা হাসান আল-থাওয়াডি বলেন, ‘৪৮ দলের বিশ্বকাপ নিয়ে আমরা ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছিলাম। কিন্তু এক্ষেত্রে যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্ব শুরুর আগে নিশ্চিত করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা না হলে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সময় পাওয়া যাবে না।’
আগামী বছরই ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইনফান্তিনোর বিশ্বাস ২১১টি ফেডারেশনের মধ্যে ১৮০টি ভোট তাঁর পক্ষে থাকবে।