ফুটবল ক্যারিয়ারে অনেক হ্যাটট্রিক রয়েছে কাজী সালাহউদ্দীনের। শনিবার বিশেষ হ্যাটট্রিকের অধিকারী হলেন সাবেক এই ফুটবলার। বাফুফে সভাপতি হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন সালাহউদ্দীন। কোনও ফেডারেশনের সভাপতি পদে হ্যাটট্রিক নির্বাচিত হওয়ার নজির এটাই প্রথম।
বাফুফে নির্বাচনে সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানকে ৫০-৮৩ ভোটে হারিয়েছেন সালাহউদ্দীন। ১৩৪ জন ভোটারদের সবাই ভোট দিয়েছেন। তবে সভাপতি পদে একটি ভোট বাতিল হয়েছে।
৪০ বছরের বেশি ফুটবল ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি প্রতিকূলতার মধ্যে ছিলেন সালাহউদ্দীন। নির্বাচনকে ঘিরে ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকরা, তার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ জনরাও ছিলেন বিপক্ষে! সালাহউদ্দীনকে ঠেকানোর জন্য ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই এককাট্টা হয়েছিলেন। ভোটারদের অর্থ দিয়ে প্রলোভন, রাজনৈতিক হুমকিসহ নানাভাবেই চেষ্টা করেছিল সালাহউদ্দীন বিরোধীরা। ফেডারেশন নিয়েও সালাহউদ্দীনকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছে অনেকে। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের ‘ইমেজ’ দিয়ে সালাহউদ্দীন শত প্রতিকূলতা জয় করেছেন। তাই আবেগ ছুয়ে গেছে সালাহউদ্দীনের প্যানেলের সবাইকে; নির্বাচন কমিশনার মঞ্চে।
নির্বাচন কমিশনার ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাস করেন সালাহউদ্দীনের সম্মিলিত পরিষদ। সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়া কাজী নাবিল আহমেদ যাকে আবেগ খুব কমই স্পর্শ করে। সেই নাবিল আহমেদ ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন। সালাম মুর্শেদী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে বেশ নির্ভার ছিলেন- এমন কথা শোনা গেলেও সালাহউদ্দীন নির্বাচিত হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি কেঁদেছেন মুর্শেদী।
এছাড়া হারুনুর রশিদ, মহিউদ্দিন আহমেদ মহী, বাদল রায়ও আনন্দে চোখ মুছেছেন। সালাহউদ্দীনের মেয়ে কাজী সারাহজিন সারা দিন র্যাডিসনে ছিলেন। ফলাফলের পূর্ব পর্যন্ত বেশ চিন্তিত ছিলেন তিনি। ফলাফলের পরে তৃপ্তির হাসি ছিল সালাহউদ্দীনের মেয়ের মুখে।
১৩৪ ভোটারের মধ্যে ৬৭ টি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের। জেলা পর্যায়ের ভোটারদের ওপর ভরসা রাখা ছিল দুষ্কর। সেই ভোটাররা অনেক চাপের মধ্যেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি। ফুটবলে সালাহউদ্দীনের অবদানকে মূলায়ন করেছেন।
এদিকে হারের পরেও বেশ ইতিবাচক মনোভাবে ছিলেন কামরুল আশরাফ খান পোটন। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে হার-জিত রয়েছে। আমি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ফুটবলের উন্নয়নে আমি থাকবো। যেটা আগেও বলেছি এখনও বলেছি। ফুটবল ফেডারেশন চাইলে আমি যে কোনও কাজে সম্পৃক্ত হব।’
ফুটবলের মূল সমস্যা অর্থ। হেরে যাওয়ার পরেও পৃষ্ঠপোষকতার কথা জানিয়েছেন কামরুল, ‘ফেডারেশন চাইলে আমি অবশ্যই পৃষ্ঠপোষকতা করব। অর্থ সংকট দূর করার ক্ষেত্রে আমার সাহায্য থাকবে।’
- ২৫৭ রানের টার্গেট জিম্বাবুয়ের
- জিম্বাবুয়ের জয়ের টার্গেট ২৯১ রান
- টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জিম্বাবুয়ের
- জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিঁটকে গেলেন লিটন
- তামিম এখন আট হাজারে
- লংকান ১০ ক্রীড়াবিদের পলায়ন
- ৪-১ এ সিরিজ জিতলো ভারত
- বড় জয়ে লিগ শুরু বায়ার্নের
- বড় স্কোর গড়েও হার বাংলাদেশের
- শুরুতেই জয় চান তামিম
- লিজেন্ডস লিগে মাশরাফি
- ওয়ানডে সিরিজ জিতলো ভারত
- ওয়ার্নের বাড়ি বিক্রি
- ম্যাথুজের শততম টেস্টের প্রথম দিন ৬ উইকেটে ৩১৫ রান শ্রীলংকার
- দল হিসেবে খেলার লক্ষ্য থাকবে: নূরুল হাসান সোহান
